হাওড়া: বেলাগাম করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ছে বেড-সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে বেলুড় শিল্পমন্দিরে সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন সারদা পীঠ। ৫০ বেডের এই সেফ হোমে থাকতে পারবেন উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীরা।
করোনা আবহে আপাতত বন্ধ বেলুড় শিল্পমন্দির। সেই কারণেই আগামী ৬ মাসের জন্য পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাস চত্বরে সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
লাগামছাড়া সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বেড না পাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। এই আবহে রাজ্যে একাধিক জায়গায় তৈরি হচ্ছে সেফ হোম। প্রশাসনের উদ্যোগে আরও নতুন ৩টি সেফহোম হচ্ছে কলকাতায়। সেফ হোম হচ্ছে ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও নেতাজি ইন্ডোরে। জানা গিয়েছে, নতুন তিনটি সেফহোমে থাকছে প্রায় ৬০০ বেড। এই তিনটি সেফহোমের দায়িত্বে আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হয় কোভিড হাসপাতাল। আমরি হাসপাতাল পরিচালিত এই হাসপাতালে টুইন শেয়ার ও সিঙ্গল কেবিন সহ থাকছে মোট ২৩৩টি বেড। ভাড়া পড়বে ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতিদিন।
তার আগে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে পরিণত হয় কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম। ১৫৩ বেডের হাসপাতালে জেনারেল বেডের পাশাপাশি রয়েছে আইসিইউ, এইচডিইউ। রয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্টও।
পাইকপাড়ার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে মহিলাদের হস্টেলে ৭৫ বেডের সেফ হোম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। প্রথম পর্যায়ে ৪০টি বেড থাকছে। থাকছে অক্সিজেন পার্লার।
বাঁকুড়ার বিকনায় কর্মতীর্থকে রূপান্তর করা হয়েছে সেফ হোমে। ৫০ বেডের সেফ হোমে ২৫টি বেড মহিলাদের জন্য ও ২৫টি বেড পুরুষদের জন্য রাখা হয়েছে।
এছাড়া, দক্ষিণ কলকাতার উত্তীর্ণয় চালু হয় সেফ হোম। আপাতত ১০০ বেডের এই সেফ হোমে উপসর্গহীন রোগীদের রাখা হবে। থাকবেন চিকিত্সক ও নার্স। পরে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।