কলকাতা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর চারমাস পর প্রয়াত হলেন সৌমিত্র-জায়া দীপা চট্টোপাধ্যায়। রবিবার ভোররাতে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবিটিসে ভুগছিলেন সৌমিত্র-পত্নী দীপা চট্টোপাধ্যায়। কিডনির সমস্যার কারণে সম্প্রতি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিডনি বিকল হয়েই মৃত্যু হয় সৌমিত্র-জায়ার। 


স্বামী কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ৪ মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল সৌমিত্র জায়া দীপার৷ নভেম্বরে মৃত্যু হয় সৌমিত্রবাবু৷ করোনা আক্রান্ত হন তিনি৷ লড়াই চলে বহুদিন৷ শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় তাঁর৷ ১৯৬০ সালে বিয়ে হয় সৌমিত্র-দীপার৷ তবে চিরকালই আড়ালে থাকতে পছন্দ করেছেন দীপা৷ সামলেছেন ব্যস্ত অভিনেতার ঘর৷ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়ার পর থেকে ঘনঘন অসুস্থ হতে থাকেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল দীপা চট্টোপাধ্যায়ের৷  


অনিশ্চিত জীবনের সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী। কঠিন পরিস্থিতিতে দু’জনে একসঙ্গে গাছতলাতেও দাঁড়াতে প্রস্তুত ছিলেন। ২০০৭ সালে এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।


“হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে? অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার।
তোমার আকাশ—আলো—জীবনের ধার
ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই, শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে।
আমি চ’লে যাবো—তবু জীবন অগাধ”