বার্লিন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের আঁচ অর্থনীতির গায়ে।  চরম বিপর্যয় আসন্ন। কীভাবে তার ধাক্কা সামলাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তার জেরেই কি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন জার্মানির  হেসে অঞ্চলের অর্থমন্ত্রী ৫৪ বছর বয়সি টমাস স্কেফার, যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে রেললাইন থেকে? হেসের প্রধানমন্ত্রী ভোলকার বুফিয়েরের দাবি, আসন্ন প্রবল আর্থিক মন্দা সামাল দেওয়া নিয়ে প্রবল উদ্বেগের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হলেন। বিবৃতিতে ভোলকার বলেছেন, আমরা শোকাহত। এখনও এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। আমরা  সবাই গভীর বিষাদে আক্রান্ত। ওয়েইসবাডেনের কৌঁসুলির দপ্তর থেকেও আত্মহত্যার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে  জানানো  হয়েছে। পুলিশও বলেছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া তথ্য় ও ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে তাদেরও মত, উনি আত্মহত্যাই করেছেন।


জার্মানির অর্থনৈতিক রাজধানী  ফ্রাঙ্কফুর্ট পড়ে হেসের মধ্যেই। ডয়েসে ব্যাঙ্ক, কমার্জব্যাঙ্কারের মতো বড় ঋণদাতা সংস্থাগুলির দপ্তর ফ্রাঙ্কফুর্টে। সেখানেই ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কও।

স্কেফারের মৃত্যুতে দৃশ্যত ভেঙে পড়া ভোলকার জানিয়েছেন, গত ১০ বছর হেসের অর্থবিষয়ক প্রধান  অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস অতিমারীর আঘাত সামলে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক-কর্মচারীদের সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে ‘দিবারাত্র’ কাজ করছিলেন। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত  ভোলকারের মত, এটাই মনে হয়, উনি গভীর উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। আর ঠিক এমন বিপর্যয়ের সময়েই ওনার মতো একজনের প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না, বিরাট সংখ্যক মানুষের আর্থিক চাহিদা মেটানো সমেত বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা। সম্ভবত উনি কোনও রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই হতাশায় ভুগছিলেন।

ভোলকারের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী বলে দীর্ঘদিন ধরেই ভাবা হচ্ছিল স্ত্রী, দুটি সন্তানকে ফেলে চলে যাওয়া জনপ্রিয় নেতা স্কেফার।  ভোলকারের মতোই তিনি ছিলেন মর্কেলের মধ্য-দক্ষিণপন্থী  সিডিইউ পার্টির নেতা।