লখনউ: বুধবার থেকে লখনউতে শুরু হচ্ছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের দেশের সর্ববহৎ মেলা ডেফএক্সপো-২০২০। উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে, পাঁচদিন লখনউগামী অন্তত ৯০টি উড়ানের সময় বদল করা হল। এরফলে, প্রায় ২২ হাজার যাত্রীর সফরসূচি পরিবর্তন হচ্ছে।
ডেফএক্সপো-২০২০ তে বহু যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী হবে। ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের প্রস্তুত করা এফ-৩৫ লাইটনিং ২-- যা আমেরিকা ভারতকে বিক্রি করতে চাইছে-- এসব যুদ্ধবিমানগুলি আগামী কয়েকদিন লখনউয়ের আকাশসীমা দাপিয়ে বেড়াবে। পাশাপাশি দেখা যাবে সুখোই-৩০ এমকেআই, জাগুয়ার জেট। দেখা যাবে চিনুক ও চিতার মতো সামরিক হেলিকপ্টারের কসরতও। ফলত, এই সব উচ্চগতির ফাইটার জেটের ওজন্য নিরাপদ ও ফাঁকা আকাশসীমা দিতে অসামরিক বিমান চলাচলের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। ডেফ এক্সপোয় অংশ নেওয়া বিমানগুলি লখনউ ও বক্সী কি তালাব বিমানবন্দর থেকে উড়বে।
এএআই-এর মুখপাত্র সঞ্জয় নারায়ণ বলেন, প্রতিদিন দুঘণ্টা করে বিমানবন্দরে সাধারণ বিমানের ওঠানামা বন্ধ থাকবে। বায়ুসেনা দাবি করলে সেই সময়সীমা বাড়ানো হবে। ফলত, সব অসামরিক বিমানের ওঠানামার সময় বদল করতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ক’দিন প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের জন্য বিমানবন্দর লাগোয়া সমস্ত মাছ ও মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, মাংসের দোকানের কাছে প্রচুর পাখি থাকে। সেগুলি বিমানের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। এর জন্য বাজি ফাটিয়ে পাখিগুলিকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এলাকা থেকে।
দুবছর অন্তর হওয়া এই অনুষ্ঠানে এবার ১১তম সংস্করণ।  এবারের এক্সপো-র থিম ‘ভারত: উদীয়মান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী হাব’। ডেফ এক্সপো-২০২০ তে বিদেশি অভ্যাগতদের তালিকায় রয়েছেন ৩৫টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ৫৪টি দেশের সামরিক প্রধান এবং বিশ্বের প্রথম সারির অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধি ও শিল্পপতিরা। এক হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের সম্ভার পেশ করতে চলেছে।