দেহরাদূন: আগের ক্ষত সারেনি এখনও পর্যন্ত। তার আগে ফের বিপর্যয় নেমে এল। আবারও প্রকৃতির রোষে পড়ল উত্তরখণ্ড। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে এই মুহূর্তের বিপর্যস্ত দেহরাদূন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে দোকানপাট, বাড়িঘর। বেশ কয়েক জন নিখোঁজ বলেও জানা যাচ্ছে। তমসা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেহরাদূন-হরিদ্বার জাতীয় সড়কের উপর একটি সেতু ধসে গিয়েছে বলে খবর। (Uttarakhand Cloudburst)

Continues below advertisement

একটানা ভারী বৃষ্টি চলছিলই। সেই আবহেই সোমবার রাতে বিপত্তি ঘটে। মেঘভাঙা বৃষ্টি আছড়ে পড়ে দেহরাদূনে। তপোবনে পর পর বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে সহস্ত্রধারা এবং IT Park এলাকা। সেখানে দু’জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। (Dehradun Cloudburst)

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মেঘভাঙা বৃষ্টির পরই দুকূল ছাপিয়ে জল উঠে আসে লোকালয়ে। নদী সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখান থেকে। নদীর জল এতটাই ফুঁসছে যে একটি সেতু ভেঙে পড়েছে সেখানে। 

সংবাদ সংস্থা ANI-এর ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, তমসা নদীর জলে কার্যত তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে টপকেশ্বর মন্দিরের। মন্দিরের পুরোহিত, আচার্য বিপিন জোশী বলেন, "ভোর ৫টা থেকে নদী ফুঁসছে। গোটা মন্দিরচত্বর জলের নীচে। বহু বছর এমন পরিস্থিতি হয়নি। বহু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সময় নদীর কাছে না যাওয়াই ভাল। মন্দিরের গর্ভগৃহ ঠিক আছে। হতাহতের কোনও খবর নেই আপাতত।"

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির জেরে সহস্ত্রধারা এবং দেহরাদূনে বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ ফোনে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। তিনি নিজে পরিস্থিতির তদারকি করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছেন বলেও জানান পুষ্কর।

উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয় সামাল দিতে মোতায়েন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী মোকাবিলা, রাজ্য বিপর্যয় বাহিনী মোকাবিলা, পূর্ত দফতর। দেহরাদূনের জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে আপাতত। এর আগে, অগাস্ট মাসে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মোপাটায় দু’জন নিখোঁজ হয়ে যান।