নয়াদিল্লি : দেশে কোভিড সঙ্কটের জের। ফের পিছিয়ে গেল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট পদে রয়ে গেলেন সনিয়া গাঁধী।


এই নিয়ে তিন বার। ২০১৯ সালে দলের প্রেসিডেন্ট পদ থকে পদত্যাগ করেন রাহুল গাঁধী। দলে আত্মসমালোচনার কথা বলেন তিনি। মূলত, গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে প্রেসিডেন্ট করার কথা বলেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। যদিও লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর ফের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হয় সনিয়া গাঁধীকে। আগামী ২৩ জুন কংগ্রেসের সেই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। যার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৭ জুন।


এদিন সেই নিয়ে আলোচনা হয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া। তবে শরীর ভাল না থাকার জন্য বৈঠকে থাকেননি রাহুল গাঁধী। এদিন কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দেশের কোভিড পরিস্থিতির জন্য আপাতত দলীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে দল। এই বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


সূত্রের খবর, এদিন নিয়ম মেনে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু করোনাকালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মুখ খোলেন খোদ অশোক গেহলট, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার মতো নেতারা। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালে পাঁচ রাজ্যে দলের শোচনীয় ফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট সনিয়া গাঁধী। অবিলম্বে এই ফলের বিষয়ে আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


কংগ্রেসের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, ২০১৭ সালে সনিয়া গাঁধীর কাছ থেকে দলের প্রেসিডেন্ট পদ নেন রাহুল। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ফের মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে। দলের ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল গাঁধী। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, সময় এসে গেছে কোনও গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়ার।


যদিও দেখা যায়, দলের প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য থাকলেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দল। শেষ পর্যন্ত অসুস্থ সনিয়া গাঁধীকেই দলের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে অবশ্য দলের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কোন্দল লেগে যায়। ২৩ জন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যেই দলের প্রেসিডন্ট নির্বাচন করানোর জন্য প্রশ্ন তোলেন। যাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সনিয়ার আস্থাভাজন। স্বাভাবিকভাবেই দলের বহু নেতার এই প্রকাশ্যে চিঠি ভাল চোখে নেননি সনিয়া।