দিল্লি : দিল্লি এইমসের কনভারজেন্স ব্লকে আগুন লাগে বুধবার রাতে। জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লেগে যায় কনভারজেন্স ব্লকের একটি বিল্ডিংয়ের দশতলায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিন। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের মরিয়া চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে শেষ খবর। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অতুল গর্গ জানিয়েছেন তেমনটাই। ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও মেলেনি। সৌভাগ্যবশত নেই হতাহতের কোনও খবরও।


এইমসের ক্যাম্পাসের মধ্যে কনভারজেন্সে বিল্ডিংয়ে যেখানে আগুন লাগে সেই জায়গাটি থেকে অনেকটা দূরে থাকেন রোগীরা। বিল্ডিংটিতে মূলত একাধিক পরীক্ষাগার রয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের দলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লাগলে পারে। তবে দিল্লি এইমসের মতো দেশের অন্যতম বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে আগুন কীভাবে লাগল তা জানতে ইতিমধ্যে সব দিক খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে হাজির দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ অফিসার সুনীল চৌধুরী বলেছেন, 'সাড়ে ১০টায় আমরা আগুন লাগার আপদকালীন ফোন পাই। আগুনের জেরে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কনভারজেন্স বিল্ডিংয়ের যেখানে আগুন লেগেছিল ওই জায়গাটি কোভিডের নমুনা সংগ্রহে ব্যবহার করা হতো।'


দেখে নিন সেই ভয়াবহ আগুন-



কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের দুই হাসপাতালে আগুন লেগে একাধিক রোগী মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। গত মাসে গুজরাটের ভারুচে ভারুচের প্যাটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে আগুন লেগে আইসিইউ-তেই পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জন করোনা রোগীর।মহারাষ্ট্রের পালঘরে কোভিড হাসপাতালের আইসিইউতে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন রোগীর। যার কয়েকদিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রেই ঠানেতে পের হাসপাতালে আগুন লেগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মহারাষ্ট্রের ভান্ডারাতে আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে হাসপাতালে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে ১০ টি সদ্যজাত শিশু প্রাণ হারিয়েছিল।