পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: এক রাতের বৃষ্টিতেই বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর অস্থায়ী রাস্তা। চরম বিপাকে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের শতাধিক গ্রামের বাসিন্দা। দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে গেল বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন মিনাপুর থেকে বাসি যাওয়ার রাস্তা। পাশাপাশি, রাতভর বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বাঁকুড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড।


রাস্তা ছাপিয়ে বইছে নদী। প্রতিবার বর্ষায় এভাবেই বানভাসি হয় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতেই ভেসে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাট এলাকার অস্থায়ী রাস্তা। বাঁকুড়া শহরে পৌঁছতে যেখানে সময় লাগত ৭-৮ মিনিট, সেখানে এখন ঘুরপথে পেরোতে হচ্ছে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা।


স্থানীয়দের দাবি, ২০১৮-র বন্যায় ভেঙে পড়ে গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাট সংলগ্ন ফুট ব্রিজ। পূর্ত দফতরের তদারকিতে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও, কয়েকবছর পরেও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা সুদীপ কর্মকার বলেন, জল বেড়েছে। তাই অস্থায়ী সেতু ভেসে যায়। কয়েকবছর ধরে সেতু তৈরির কাজ হচ্ছে। পুরসভার অস্থায়ী রাস্তা প্রতিবার ভেসে যায়। শতাধিক গ্রাম রয়েছে। হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এটা হচ্ছে। বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল বলেন, পূর্ত দফতরের গড়িমসি মনোভাবের কারণে দেরি। বিষয়টা জেলাশাসককে জানিয়েছি। বৃষ্টির জন্যেই সেতু ভেঙেছে। জল নামলে মেরামত করা হবে।


দ্বারকেশ্বরের জল বাড়ায় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া মিনাপুর থেকে বাসি যাওয়ার ফুট ব্রিজও জলের তলায়। ১৬, ১৮, ১৯ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। হাঁটুজল ঠেলেই চলছে যাতায়াত। বাঁকুড়ার লোকপুরের বাসিন্দা বেদান্ত মণ্ডল বলেন, আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে। বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক অলকা সেন মজুমদার, জল নামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার মানুষকে নিয়ে বসব। পরবর্তীকালে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছে। নিজে এলাকা ঘুরে দেখছি। জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে সরানোও হচ্ছে। পুরসভার আশ্বাস সত্ত্বেও, এবার বর্ষার শুরুতেই জল জমতে শুরু করায় আশঙ্কায় বাঁকুড়া পুর এলাকার বাসিন্দারা।