নয়াদিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পেছনের রহস্য পেঁয়াজের খোলার মতো খুলছে। প্রতিদিনই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৫ দিনের মাথায় ডক্টর মডিউল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।  জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চাঁই লুকিয়ে আফগানিস্তানে ! চিকিৎসক মুজফফর রাথরই ডক্টর মডিউলের মাথা বলে খবর গোয়েন্দাদের কাছে।

Continues below advertisement

তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। গোয়েন্দারা বিভিন্ন বিন্দু মিলিয়ে যে ছক খুঁজে পাচ্ছেন , তা হাড়হিম করা। ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই সম্ভবত আফগানিস্তানে গা ঢাকা দিয়েছে স্ফোরণকাণ্ডের মূল চাঁই  মুজফফর রাথর। যাতে কোনওভাবেই ভারতের গোয়েন্দা-পুলিশ তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে না পারে, তাই বড় ফন্দি এঁটেছিল সে। গোয়েন্দাদের ধারণা, গত ২২ অগাস্ট দুবাই হয়ে আফগানিস্তানে চলে যায় মুজফফর। গোয়েন্দাদের সন্দেহ বিস্ফোরণকাণ্ডের এই মাস্টারমাইন্ড  আফগানিস্তানের হেলমন্দ বা কুনার প্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে । 

দিল্লিতে হামলার আগে ফরিদাবাদ থেকে ধরা পড়ে ডক্টর গ্যাংয়ের আরেক সদস্য আদিল। এই আদিলেরই ভাই মুজফফর। আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ট্রেনিং নিতে আগেই আফগানিস্তানে গিয়েছিল মুজফফর। খবর সূত্র মারফৎ।  দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের বোনের। জানা গিয়েছে,  সাদিয়া আজহারের স্বামী পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের যোগ্য প্রত্যাঘাতে খতম হয়। মাসুদের পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যেরও প্রাণ যায় বলে খবর পাওয়া যায়। তারপর থেকেই নাকি একেরবারে  জইশের মহিলা শাখা, ‘Jamal-ul-Muminat’ শুরু করে দেয় মাসুদ। বোন সাদিয়াকে সেখানে মাথায় বসিয়ে দেয়। এই জইশ কমান্ডার মাসুদ আজহারের ভাইয়ের নির্দেশেই আফগানিস্তানে যায় মুজফফর। বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ পাক হ্যান্ডলারও এখন সেখানেই গা-ঢাকা দিয়েছে।   

Continues below advertisement

এরই মধ্যে ভারতীয় গোয়েন্দারা নজরে রেখেছে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়কে। কারণ, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তারা প্রায় সকলেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। এই সূত্রে প্রায় ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। NIA আটক করেছে বাংলার এক ডাক্তারকেও। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থেকে চিকিৎসককে আটক করেছে গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ধৃতের নাম জানিসর আলম ওরফে জিগর। ২০২৪-এ ফরিদাবাদের আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MBBS পাস করে জিগর। এরপর MD করতে চন্ডীগড় গিয়েছিল জিগর। চলতি মাসেই বাড়িতে আসে সে। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিকিৎসককে আটক করেছে NIA। ফরিদাবাদের আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ একাধিক ডাক্তারকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।