দিল্লি : জোরালো বিস্ফোরণ । মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন অসংখ্য মানুষের শরীর । রক্তাক্ত হল ভারতের 'দিল'। দিল্লি বিস্ফোরণে মৃত্য়ুমিছিল। সেই ১০/১১ -র সন্ধে থেকেই একটাই প্রশ্ন দেশের মানুষের মনে ? এই হানা কি আত্মঘাতী হানা? নাকি বিস্ফোরক নিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশতই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা? প্রথমে গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন উমর তার দুই সঙ্গী চিকিৎসক আদিল ও মুজাম্মিল গ্রেফতার হওয়ার পরই ঘাবড়ে গিয়ে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে দিল্লি রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে ততই প্রকট হয়েছে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্ব। এবার এমন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এল, যা কার্যত সিলমোহর দেবে আত্মঘাতী হামলার সম্ভাবনাতেই। কারণ সেখানে দেখা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণের আগে আত্মঘাতী হামলার হয়ে সওয়াল করছে জঙ্গি-ডাক্তার উমর! একেবারে কাটা-কাটা ইংলিশে সে বোঝাচ্ছে মানুষ আত্মঘাতী হামলা নিয়ে ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছে।
মৃত জঙ্গি-ডাক্তার উমর উন নবির নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই হামলাকে কার্যত আত্মঘাতী হানা নয়, শহিদের কাজ হিসেবে মহিমান্বত করতে চেয়েছে সে! ওই ভিডিওয় কার্যত ফিদাঁয়ে হামলার পক্ষে সওয়াল করেছে ওই জঙ্গি ডাক্তার।দিল্লি বিস্ফোরণের আগে আত্মঘাতী হামলা নিয়ে ভিডিও বার্তায়, তার দাবি, ডাক্তার-জঙ্গির যুক্তি, আত্মঘাতী হামলা নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। ... এটি আদতে একটি...' আসলে সে এই ঘৃণ্য কাজকে মহিমান্বিত করতে চেয়েছে। এখন, এর বিরুদ্ধে একাধিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তিও আনা হয়েছে। তবে এটা ...." গোয়েন্দারা মনে করছেন, ভিডিওটি ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর তৈরি করা হয়েছে। তাতেই মনে হচ্ছে, ফরিদাবাদে অভিযানের পরেই কি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ছক কষা হচ্ছে ? আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত হয়েই ভিডিও বার্তা দেওয়া হচ্ছে ? দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত জঙ্গি-ডাক্তারের ভিডিও বার্তায় আপাতত তোলপাড় চলছে।
সোমবার দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে, সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করে NIA। ধৃত জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ কাশ্মীরের বাসিন্দা। NIA-র টিম তাকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করে। NIA সূত্রে দাবি, ধৃত দানিশ দিল্লি বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী। বিস্ফোরণে নিহত উমর উন নবির ঘনিষ্ঠ ছিল সে। জঙ্গিদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণও দিয়েছিল দানিশ।ড্রোনকে কীভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়, তারও পরিকল্পনা করছিল এই দানিশ। একের পর এক গ্রেফতারির পাশাপাশি দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তও চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, তাঁদের নজরে রয়েছে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত চিকিৎসক শাহিন শাহিদও। তার অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত ৭ বছরে ধৃত চিকিৎসক শাহিন শাহিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ পাওয়া গেছে।