নয়া দিল্লি: জইশ-ই-মহম্মদের ফরিদাবাদ-সাহারানপুর মডিউলের বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস। বিশেষ এনক্রিপ্টেড মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে জৈশ হ্যান্ডলারদের সঙ্গে ধৃত চিকিৎসকদের যোগাযোগ। 'সেশন' নামে এনক্রিপ্টেড মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ। হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর ও মুজাম্মিলের।
ওই অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হয় না। মুজম্মিলকে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যে জইশ হ্যান্ডলারের সঙ্গে মুজাম্মিলের যোগাযোগ, তার ছদ্মনাম আবু উকসা। তুরস্কের ভার্চুয়াল নম্বর ব্যবহার করত আবু উকসা, মুজাম্মেলকে জেরা করে করে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর-উন-নবির ডায়েরির হদিশ। ডায়েরিতে সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা বহু তথ্য। সঙ্কেত ডিকোড করলে আঁচ মিলতে পারে জঙ্গিদের গোপন পরিকল্পনার। ডায়েরিতে ৮ থেকে ১২ নভেম্বরের বিশেষ উল্লেখ, খবর সূত্রের। বিস্ফোরণ ঘটেছে ১০ নভেম্বর, ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে আর কী পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের? ডায়েরিতে রয়েছে ২৫ জনের নাম। এদিকে, দলের বাকিরা কোথায়? চলছে সেই খোঁজ। এই ২৫ জনের বেশিরভাগ জম্মু-কাশ্মীর এবং ফরিদাবাদের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের অনুমান, বেশ কয়েকদিন ধরেই সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্তরা।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত একাধিক ডাক্তারের সঙ্গে ফরিদাবাদেরই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ মিলেছে। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্য়ালয় কি ডাক্তার-জঙ্গিদের চক্রান্তের ল্যাবরেটরি ছিল?
পুলিশ সূত্রে দাবি, দিল্লির বিস্ফোরণে যে i20 গাড়িটি ব্যবহার করা হয়। সেটি চালাচ্ছিল কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা, চিকিৎসক মহম্মদ উমর উন নবি। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই উমর উন নবি ছিলেন আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিলও এই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।
আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই কি বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল? পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে আরও মারাত্মক তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়িটি, দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই পার্ক করা ছিল।