নয়া দিল্লি: রাজধানীতে সোমবার বিরাট বিস্ফোরণে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল এতটাই যে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে দেহাংশ। যে লাল কেল্লায় ১৫ অগাস্ট দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণে প্রশ্ন উঠছে রাজধানীর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে উমর উন নবীর কার্যকলাপ নিয়েও।
এই উমর পেশায় চিকিৎসক। জঙ্গিদের হয়ে পোস্টার লাগানোর মামলার তদন্তে 'সন্ত্রাসবাদী' চিকিৎসকদের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, জঙ্গিদের পোস্টার-মামলার তদন্তে প্রথমে সামনে আসে চিকিৎসক মুজম্মিলের নাম। ৩০ অক্টোবর মুজম্মিলকে আটক করে পুলিশ, তারপরেই আসে ফরিদাবাদ-মডিউল। ডাক্তারি করতে গিয়ে অনন্তনাগে গিয়েছিল আদিল, সেখানেই লকারে রাখে AK 47। ফরিদাবাদে একসঙ্গে কাজ করতেন ৪ চিকিৎসক-উমর, মুজম্মিল, আদিল, ইরফান। যে ঘরে থাকতেন মুজম্মিল, উমর, সেখানেই মিলেছে প্রচুর বিস্ফোরক। ফতেহপুর দাগা গ্রামে আরেকটি ভাড়া বাড়িতে মিলল অ্যামেনিয়াম নাইট্রেট।
যদিও এই বিস্ফোরণে প্রশ্ন উঠছে উমরের পরিকল্পনা নিয়ে। সোমবার সকালে ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার ও দলের বাকিদের গ্রেফতারের পর কি ভয়ে বিস্ফোরক নিয়ে দিল্লিতে ঢুকেছিল সে? না কি আরও বড় কোনও পরিকল্পনা ছিল তার? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিস্ফোরণের আগে ৩ ঘণ্টা পার্কিং লটে দাঁড়িয়েছিল i20 গাড়িটি। i20 গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর উন নবি। দুপুর ৩.১৯, সোমবার: লালকেল্লার কাছে পার্কিং লটে ঢোকে উমরের সাদা গাড়ি। সন্ধে ৬.২২, সোমবার: লালকেল্লার পার্কিং লট থেকে বেরোয় উমরের হুন্ডাই i20। ৩০ মিনিট পরেই সন্ধে ৬.৫২-এ সিগনালের কাছে হুন্ডাই গাড়িতে বিস্ফোরণ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে গত কয়েক বছরে ঠিক একাধিক বার হাতবদল হয়েছে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটির। তবে সবটাই অলিখিত। একেবারে বিনা পেপারওয়ার্কে। হরিয়ানাতেই রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল গাড়িটিকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গোটাটাই পরিকল্পিত নাশকতা?
এদিকে, উমরের বাবা, মা, ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এর আগেই দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ জোরালো হয়েছিল। আজ আটক পুলওয়ামার আরও ১ চিকিৎসক। পুলওয়ামার চিকিৎসক সাজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল কাশ্মীর-হরিয়ানা-দিল্লি পুলিশের যৌথ অভিযান চলেছে। সেই যৌথ অভিযানে গ্রেফতার ৩ ডাক্তার-সহ ৮ জন গ্রেফতার।