নয়াদিল্লি: ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের আগে ভোটার তালিকায় নাম উঠে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে এবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীকে নোটিস পাঠালল দিল্লির আদালত। এব্যাপারে নোটিস দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকেও, জবাব চাওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকেও। প্রতারণা ও নথই জাল করার দায়ে সনিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপ করতে আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। (Sonia Gandhi Voter Identity)
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনে সনিয়া ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছেন। বিকাশ ত্রিপাঠি নামের একজন ওই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ১৯৮২ সালের ভোটার তালিকা থেকে সনিয়ার নাম মুছে দেওয়ার পর, ১৯৮৩ সালে জাল নথির মাধ্যমে ফের তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী বছর ৬ জানুয়ারি এ নিয়ে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। (Sonia Gandhi Citizenship)
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসে নিম্ন আদালত যদিও সনিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা যায় না। যে নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড বলে যে নথির প্রতিলিপি পেশ করেছেন বিকাশ, তা যাচাই করা হয়নি। সেই সময় ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে যান বিকাশ। সেই মতো নোটিস পাঠানো হল সনিয়াকে। ঘটনাচক্রে আজই সনিয়ার জন্মদিন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে, ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যখন সরব রাহুল গাঁধী, সেই সময়ই সনিয়ার নাগরিকত্ব ও ভোটার পরিচয় পত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য অভিযোগ তোলেন, ‘১৯৮০ সালে প্রথমবার ভোটার তালিকায় ওঁর (সনিয়ার) নাম ওঠে-ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের তিন বছর আগে। তখনও ইতালির নাগরিক ছিলেন’।
অমিত দাবি করেন, সেই সময় সমালোচনার মুখে পড়ে সনিয়ার নাম মুছে দেওয়া হলেও, ১৯৮৩ সালে ফের তা ফিরে আসে। ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের ভোটার হিসেবে সনিয়ার নাম তালিকায় থাকলেও, সনিয়া সে বছর ৩০ এপ্রিল ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। রাজীবের সঙ্গে বিয়ের ১৫ বছর পর কেন সনিয়া ভারতের নাগরিকত্ব নিলেন, সেই প্রশ্নও উস্কে দেন মালব্য। কংগ্রেস যদিও গোড়া থেকেই বিজেপি-র অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।। মালব্য যে নথি প্রকাশ করেন, তা ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তারা। বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে অস্বীকার করে।