নয়াদিল্লি: লকডাউনের সময় বাড়ানোর আর্জি জানাল বণিক সংগঠন। গতকাল, শুক্রবার দিল্লি সরকারের কাছে এই আবদেন জানিয়েছে দ্য কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, এক সপ্তাহ দোকান, বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


শনিবার দোকান, বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন, দ্য কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। ২৬ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত দোকান, বাজার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারপর লকডাউন তুলে নেওয়া হোক।


একইসঙ্গে সংগঠন বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, লকডাউন ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হবে। কিন্তু এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে দিল্লিবাসীর প্রাণ বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোভিড ১৯ সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে।


চলতি সপ্তাহে সোমবার এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে কেজরিবালের সরকার। ১৯ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। অরবিন্দ কেজরিবাল বলেছিলেন, দিল্লির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে বিপুল সংখ্যক রোগী ভর্তি কার্যত অসম্ভব। তিনি বলেছিলেন, লকডাউন এখন জারি না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।


ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা। দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এই আবহে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন খোদ চিকিৎসক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ঢেউয়ের থেকে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের হার আরও মারাত্মক। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনের পরিসংখ্যানকে। সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত রূপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।


চলতি সপ্তাহের সোমবার সকালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওইদিন রাত থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে দিল্লিতে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি অফিসের কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতির কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, সরকারি অফিস এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।