নয়াদিল্লি : ভ্যাকসিন সরাসরি বিক্রির ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া । সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছ, উৎপাদিত মোট ভ্যাকসিনের একটা নির্দিষ্ট অংশই প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিকে বিক্রি করা হবে এবং তার দাম হবে ৬00 টাকা প্রতি ডোজ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের দাম কোভিডের অন্য চিকিৎসার খরচের থেকে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের থেকে বেশ কম। অন্যান্য কঠিন রোগের চিকিত্সার থেকেও এই ভ্যাকসিনের দাম কম।
সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে, একটি মিডিয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দাম নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে । তাই সংস্থার তরফ থেকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি ।
প্রথমত তারা জানিয়েছে , সারা দেশে করোনা প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সরকারগুলি যেহেতু অনেক বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন কিনছে, তাই অনেক কম দামে কোভিশিল্ড দেওয়া যাচ্ছে । এই পরিপ্রেক্ষিতে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, বাজারদর অনুসারে, খোলা বাজারে অন্যান্য অসুখের অনেক ভ্যাকসিন ( যেমন নিউমোনিয়া ) অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয় । সেখানে সরকারের জন্য এটি খোলাবাজারের থেকে এক তৃতীয়াংশ দামে বিক্রি করা হয় ।
দ্বিতীয়তঃ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের দামের সঙ্গে ভারতে ভ্যাকসিনের দাম এর তুলনা টানা ঠিক নয়। প্রাথমিকভাবে কোভিশিল্ডের দাম সব সরকারের জন্য বেশ কম ছিল । কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাস ক্রমাগত মিউটেশন ঘটাচ্ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে আরও দ্রুত বেগে, যা মানুষকে বিপদে ফেলছে। সেই জন্য লড়াই আরও কঠিন হচ্ছে এবং সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনের উৎপাদন আরও বেশি করে করার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আমাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বেসরকারি হাসপাতালে ৬00 টাকা প্রতি ডোজ দামে বিক্রি করা হবে । সেই হিসেবে দেখতে গেলে অন্যান্য অনেক চিকিৎসার খরচের থেকে করোনার ভ্যাকসিনের দাম কম রাখা হয়েছে ।অনেক অসুখের চিকিৎসার খরচ এর থেকে অনেকটাই বেশি ।
জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার ভ্যাকসিনের জন্যও বাজার খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন পুনাওয়ালা। এতে আমাদের দেশের মানুষেরই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য হবে ।