নিউ দিল্লি : রাজধানীর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৫০০ জন। ১০ এপ্রিলের পর এই প্রথম ১০ হাজারের নিচে নামল সংক্রমিতের সংখ্যা। শহরে পজিটিভ কেসের হার ১২ শতাংশ নেমে এসেছে বলে আজ এক ডিজিটাল সাংবাদিক বৈঠকে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 


গত ১০ দিনে প্রায় ৩ হাজার বেড ফাঁকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ দিল্লি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেজরিওয়াল বলেন, "২০ এপ্রিল দিল্লিতে ২৮ হাজারের বেশি সংক্রমণ ছিল। এটা এখন ৮ হাজার ৫০০-য় নেমে এসেছে। পজিটিভ কেসের হার ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এপ্রিলের ২২ তারিখে এটা ছিল ৩৬ শতাংশ।"


সংক্রমণের সংখ্যা কমার পিছনে দিল্লির নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, দিল্লির বাসিন্দারা লকডাউনের নিয়ম মানায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু, লড়াই এখনও জারি রয়েছে। সাড়ে আট হাজার সংখ্যাটাকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। করোনাকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে হবে। যে কোনও রকম অবহেলা আমাদের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।


কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার নতুন অক্সিজেন বেড প্রস্তুত করছে। সিলিন্ডার আনা হচ্ছে এবং ICU বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি অনেক রোগীকে সাহায্য করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। জানান, কোভিডে মারা গিয়েছেন এমন যাঁদের ছোটো ছেলে-মেয়ে রয়েছে, তাদের যত্ন নেবে দিল্লি সরকার।  


কেজরিওয়াল বলেন, যাঁরা নিজেদের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্য আমি আছি। তাঁদের পড়াশোনার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে আমাদের। এইসব পরিবারকে সরকারের তরফে অর্থনৈতিকভাবেও সাহায্য করা হবে। 


এদিকে দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের অভাবের কথা মাথায় রেখে আজই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন দাবি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে যদি গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার প্রয়োজন পড়ে, কেন্দ্রীয় সরকারের তাই করা উচিত।