আকোলা(মহারাষ্ট্র) : ডিভোর্সের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন। সেই "অপরাধে" সালিশি সভা ডেকে এক মহিলাকে থুতু চাটানো হল। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের অকোলা জেলায়। ওই মহিলাকে ১ লক্ষ টাকা "জরিমানা" দেওয়ারও নির্দেশ দেয় তাঁর সম্প্রদায়ের "মাতব্বররা"।
৩৫ বছরের ওই মহিলা "নথ যোগী" সম্প্রদায়ের। ২০১১ সালে প্রথম বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু, ২০১৫ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০১৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যা তাঁর সম্প্রদায়ের একাংশ মেনে নেয়নি। এবিষয়ে মীমাংসার জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়। ডাক পড়ে মহিলার বোন ও আত্মীয়দের। যদিও সভায় উপস্থিত ছিলেন না মহিলা।
ওই মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, "জাতি পঞ্চায়েত"-এর সদস্যরা কলা পাতার ওপর থুতু ফেলেন। শাস্তি হিসাবে সেই থুতু চাটতে হয় তাঁকে। এর পাশাপাশি তাঁকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
তাঁর উপর এই শাস্তির খাঁড়ার কথা তাঁকে জানান আত্মীয়রা। ওই মহিলা জলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কিন্তু, ঘটনাটি অকোলা জেলার। তিনি এসে পঞ্চায়েতের এইসব দাবি-দাওয়া পূরণ করেন। তার পরই তাঁকে সম্প্রদায়ে "ফিরিয়ে" নেওয়ার কথা বলা হয়।
যদিও পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ওই মহিলা। তিনি চোপদা সিটি থানার দ্বারস্থ হন। পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এমনটাই জানিয়েছেন জলগাঁওয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ মুণ্ডে। মহারাষ্ট্রে সামাজিক বয়কট থেকে জনগণকে সুরক্ষা আইন ২০১৬-র ৫ এবং ৬ নম্বর ধারায় পঞ্চায়েতের ১০ সদস্যের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়।
ওই মহিলা জলগাঁওয়ের চোপদা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাই সেখানে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু, ঘটনাটি অকোলা জেলার পিঞ্জর থানা এলাকায় ঘটে বলে মামলাটি সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এপ্রিলের ৯ তারিখে অকোলার ওয়াডগাঁওয়ে ঘটনাটি ঘটে। গতমাসের এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি সামনে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে।