নিউ দিল্লি : ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে "অব্যবস্থার" অভিযোগ তুললেন। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন নেই। কিন্তু, বেসরকারি হাসপাতালগুলি কীভাবে ভ্যাকসিন পাচ্ছে ?  


আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন," ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সি নাগরিকদের টিকাকরণ ১০ জুনের পরই শুরু হবে। তাও আবার অল্প সংখ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে জুন মাসে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য ৫.৫ লক্ষ টিকা পাবে দিল্লি।" তাঁর অভিযোগ, ভ্যাকসিন বিতরণের বিষয়ে বসে আছে কেন্দ্র।


উপ মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিল্লিতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সি ৯২ লক্ষ মানুষের টিকাকরণের জন্য ১.৮৪ কোটি ডোজ প্রয়োজন। কিন্তু, গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্র ৪.৫ লক্ষ ডোজ দিয়েছে। আর ৩.৬৭ লক্ষ ডোজ দিয়েছে মে মাসে। এখন কেন্দ্র জানাচ্ছে মাত্র ৫.৫ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করা হবে। তাও আবার ১০ জুনের পর।


এর আগে আজই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর এই প্রথম রাজধানীতে এই প্রথম ১ হাজারের নীচে সংক্রমণ দেখা গেল। এভাবে যদি সংক্রমণ কমে, তাহলে শহরে আরও অনেক কিছু চালুর অনুমতি দেওয়া যাবে।


সোমবার থেকেই রাজধানীতে ধীরে ধীরে লকডাউন ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। নির্মাণকাজ ও এক সপ্তাহের জন্য কারখানা চালুর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু করে হবে শুক্রবার জানান কেজরিওয়াল।


তিনি বলেন, "গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৯০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক হাজারের নীচে নেমে এসেছে সংক্রমণ। আমরা আরও অনেক ব্যবস্থার আনলক পর্ব শুরু করব। আমরা চাই, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ঠিক রাস্তায় আসুক।"


ছত্রশাল স্টেডিয়ামের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, "এই সেন্টারে মানুষ গাড়ি বা মোটরবাইকে আসতে পারবেন। হেঁটেও আসতে পারবেন। যেই আমরা ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন পেয়ে যাব, সেই টিকাকরণ শুরু করে দেব।"