নয়াদিল্লি: সংশয়াতীত, নিরঙ্কুশ প্রাধান্য নিয়ে টানা তৃতীয়বার দিল্লির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষকে তাদের দলে সামিল হতে আহ্বান জানাল আমআদমি পার্টি (আপ)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অরবিন্দ কেজরিবালের দল ৬৩টি, বিজেপি সাতটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে আপ প্রার্থীদের এগিয়ে থাকার খবর আসতেই দলের দপ্তরে জড়ো হতে থাকেন দলের নেতা, কর্মীরা। ভোটের ফলাফলের প্রবণতায় উত্সাহী আপের লোকজন, সমর্থকরা দপ্তরের বাইরে ঢাকঢোল বাজিয়ে উত্সবে মেতে ওঠেন। নাচানাচি শুরু হয়। কেজরিবালের অফিসে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী আনন্দে জড়িয়ে ধরেছেন দলের নির্বাচনী কৌশল রচয়িতা প্রশান্ত কিশোরকে। নীল সোয়েটার পরা কেজরিবালকে ঘিরে দলের নেতারা নির্বাচনী গণনার গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছিলেন। কিশোর ট্যুইট করেন, ভারতের আত্মা রক্ষায় বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোয় দিল্লিকে ধন্যবাদ। আপ ট্যুইট করে, আপে যোগ দিন দেশ গঠনে সামিল হওয়ার জন্য। একটি ফোন নম্বরও তারা দিয়েছে যেখানে মিস কল দিয়ে আপে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন যে কেউ।
এবার দিল্লিতে ভোট হয়েছে দেশব্যাপী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) প্রেক্ষাপটে। বিজেপি দিল্লির শাহিনবাগের সিএএ-এনআরসি বিরোধী অবস্থান, বিক্ষোভকে টার্গেট করে জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়া, ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল নেয়। পাল্টা আপ স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ সরকার পরিচালনায় গত পাঁচ বছরের পারফরম্যান্স, বিনা মূল্যে বিদ্যুত, জল সরবরাহ কর্মসূচির জোরে ভোটে লড়ে। আজ ভোটগণনার গতিপ্রকৃতি স্পষ্ট হওয়ার পর আপ বলেছে, এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মানুষের জন্য কাজ করাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদ। আপ নেতা মণীশ শিসোদিয়া বলেন, আমাদের জয় দেখিয়ে দেবে, রাজনীতিতে সুযোগ পেলে মানুষের জন্য কাজ করাই আসল দেশপ্রেম। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের ওপর কাজ করলে দিল্লি প্রমাণ করবে একটা সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে জিততে পারে।