নয়াদিল্লি: দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে আম আদমি পার্টি (আপ)।  গণনার শুরু থেকেই বিরোধীদলগুলিকে পিছনে ফেলে দেয় আপ। কংগ্রেসের বেহাল দশার কোনও পরিবর্তন এবার ভোটেও নেই। এবারও সম্ভবত খাতা খুলতে পারছে না কংগ্রেস। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এই বিপর্যয়ের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ চোপড়া। তিনি বিজেপি ও আম আদমি পার্টিকে  মেরুকরণের রাজনীতির  জন্য দায়ী করেছেন।


চোপড়া বলেছেন, আমি দলের এই খারাপ ফলে দায় স্বীকার করছি। এই ফলের কারণগুলি আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব। বিজেপি ও আপ-উভয় দলের মেরুকরণের রাজনীতির কারণেই আমাদের দলের প্রাপ্ত ভোটের হার কমেছে।

চোপড়া আরও বলেছেন, তিনমাস হল দলের দায়িত্ব নিয়েছি। সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছি। যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি আমিই।

দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেছেন, তাঁদের দল সর্বদাই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের শেষপর্যন্ত বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, দিল্লিতে ফের খাতা খুলতে পারেনি দল। আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন আরও বেশি দলের হয়ে কাজ করতে হবে।

শর্মিষ্ঠা আরও বলেছেন, শীর্ষ স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অযথা বিলম্ব, সঠিক কৌশলের অভাব এবং রাজ্যস্তরে দলে ঐক্যের অভাব, কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, তৃণমূল স্তরে যোগাযোগ হারানোর মতো বিষয় এই বিপর্যয়ের কারণ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। দলের সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত থাকায় কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিজেও নিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।

এই খারাপ ফলের দলের অন্তর্কলহকে দায়ী করেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়া। তিনি এদিন দিল্লির ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার দায় দিল্লি কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন।

বাজওয়া বলেছেন, বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোমতোই খবর ছিল হাইকম্যান্ডের কাছে। কিন্তু এরপরও দল আপ-কে কার্যত ওয়াকওভার দিয়েছে। কংগ্রেসের এই রাজ্যসভা সাংসদ বলেছেন, দিল্লিতে বিজেপির বিভাজনমূলক রাজনীতির মোকাবিলা করা উচিত ছিল কংগ্রেসের।

বাজওয়া আরও বলেছেন, দিল্লিতে দলের এই পারফরম্যান্স থেকে পঞ্জাব কংগ্রেসের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

এবার দিল্লির নির্বাচনে লড়াইটা মূলত আপ ও বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কংগ্রেস কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।  ভোট গণনার প্রবনতা অনুযায়ী, আপ ৫৭ ও বিজেপি ১৩ আসনে এগিয়ে।