নয়াদিল্লি:  সপ্তাহান্তে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। চলছে শেষ পর্যায়ের ভোট-প্রচারের পালা। প্রত্যক দলের হয়ে আসরে নেমে পড়েছে তাবড় তাবড় ভিভিআইপি-রা। সিএএ-এনআরসি থেকে শুরু করে শাহিনবাগ-জামিয়া প্রতিবাদ এবং কেজরীবাল প্রশাসনের পারফরম্যান্স-- সব ইস্যুই প্রত্যেক জনসভায় ঝড় তুলেছে।
আগামী শনিবার ৭০-আসনের দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণ। ৬ তারিখ প্রচার শেষ। তার ৪৮-ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার, ভোট প্রচারে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। একদিকে, কংগ্রেসের হয়ে ভোট চাইবেন মনমোহন-রাহুল। অন্যদিকে, বিজেপির জন্য ঝাঁপাবেন মোদি। জানা গিয়েছে, এদিন শিখ-অধ্যুষিত রাজৌরি গার্ডেন এলাকায় জনসভা করবেন মনমোহন। অন্যদিকে, দ্বারকা এলাকায় জনসভা মোদির। এর আগে, গতকাল কড়কড়দুমা এলাকায় প্রথম নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে তিনি শাহিনবাগ নিয়ে সুর চড়ান। এই আন্দোলনের সঙ্গে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রচারে এদিন সামিল হচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। রাহুলের এদিন দুটি সভা রয়েছে। একটি বিকেল ৪টে নাগাদ জঙ্গপুরায়। দ্বিতীয়টি সঙ্গম বিহারে সন্ধে ৬টায়। এছাড়া, এদিনই শাস্ত্রী পার্কে প্রথম জনসভা করার কথা ছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকেও। কিন্তু, গঙ্গারাম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলায় সেই জনসভা বাতিল করা হয়।
এদিকে, আজই দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকা করবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লি বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ ১১ তারিখ।