নয়াদিল্লি: কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এআই দিয়ে তৈরি ডিপফেক। এই ডিপফেকের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাডে সদগুরুর ছবি ব্যবহার, এমনকী সদগুরুর (Sadhguru) গ্রেফতারির মিথ্যা খবর পর্যন্ত ইউটিউবে আপলোড করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের এআই দিয়ে তৈরি ভুয়ো ছবির বন্টন ও ব্যবহার রুখতে গুগলকে (Google) নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

Continues below advertisement

গত ১৪ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গেল ডিভিশন বেঞ্চে বিচার মনমীত প্রীতম সিংহ আরোরা গুগলকে সদগুরুর ভুয়ো গ্রেফতারির বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেন। গুগলকে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এই বিষয়টি রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুগলের প্রযুক্তিগত ব্যবহারে যদি কোনও সীমাবদ্ধতা থাকে, তাহলেও হাইকোর্টে কারণ ব্যাখা করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের তরফে ইশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে গুগলকে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশও দেওয়া হয়, যাতে বারংবার ইশা ফাউন্ডেশনের তরফে এই ধরনের জিনিসপত্র মুছে দেওয়ার জন্য বারংবার আদালতের দ্বারস্থ হতে না হয়।

মৃত্যু এবং গ্রেফতারের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলি ব্যবহার করে ক্লিকবেট বিজ্ঞাপনের গুগলের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে। তবে সদগুরুর ছবি ব্যবহার করে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বারংবার এই নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছিল বলে হাইকোর্টকে জানানো হয়। পাশাপাশি এও জানানো হয় হাইকোর্টের নির্দেশে যে বিষয়বস্তুগুলি আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বা মুছে ফেলা হয়েছে, তার সমগোত্রীয় কিছু আবার আপলোড হচ্ছে কি না, সেটা নির্ধারণের জন্য গুগলের কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার বাধ্য়তামূলক।  

Continues below advertisement

অতীতে সদগুরু ও ইশা ফাউন্ডেশন মিলে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন চ্যানেল, মাধ্যম যারা অনৈতিকভাবে সদগুরুর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানো, মিথ্যে ভিডিও প্রকাশ করা এবং বিজ্ঞাপনী প্রচার করে চলেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই এই মামলা দায়ের করা হয়। ব্যক্তিত্ব অধিকার রক্ষার্থে আদালত গত মে মাসের ৩০ তারিখ গুগলকে নির্দেশ দিয়েছিল যাতে তারা সদগুরু সম্পর্কিত এমন ভুয়ো এবং মিথ্যে প্রচার করা সমস্ত কনটেন্ট এবং তা প্রস্তুতকারী চ্যানেলগুলিকে নির্বাসিত করা হয়।

এই নির্দেশ সত্ত্বেও কিন্তু এমন অপব্যবহার ঠেকানো যায়নি। বরং সম্প্রতি ইউটিউবে তাঁর গ্রেফতারির পাশাপাশি তাঁর ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ভুয়ো বিনিয়োগ স্কিম প্রমোট করার পরিমাণ বৃদ্ধিই পেয়েছিল। সদগুরুর ছবি ও নাম ব্যবহার করে এই ধরনের ওয়েবসাইট সাধারণ জনগণের না না প্রকারে ক্ষতি করায় সচেষ্ট হয় বলে জানানো হয়েছে। এই অপপ্রচারে সদগুরুর নাম ও গরিমা বারংবার কলঙ্কিত হচ্ছিল এবং বহু মানুষ বিভিন্ন ঠগের শিকারও হচ্ছিলেন। সেই অপপ্রচার, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য এবার তাই কড়া ব্যবস্থা নিল দিল্লি হাইকোর্ট।