নয়াদিল্লি: ভ্যালেন্টাইন দিবসের উপহার! এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে ফের মিলিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এক বছর আগে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। মামলা চলছিল আদালতে। কিন্তু, এদিন সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দেয় উচ্চ আদালত।
খবরে প্রকাশ, গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি, ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের অমতে বিয়ে করেন অঙ্কিত কুমার নামে ২৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। কিন্তু, মেয়েটির বাবা ওই বিয়ে মানতে রাজি হননি। তিনি আপত্তি জানান। মেয়েটির বাবার দাবি করেন, বিয়ের সময় তাঁর মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। অঙ্কিতের বিরুদ্ধে তিনি মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। যে কারণে, ২০১৯ সালের ১০ মে অঙ্কিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অঙ্কিত গ্রেফতার হলে, তাঁর স্ত্রীকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। এদিকে, অঙ্কিতের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ সহ পকসো আইনেও মামলা করা হয়। তবে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির বাসিন্দা অঙ্কিতকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় আদালত।
ইতিমধ্যে ওই হোমে থাকাকালীন এক শিশুকন্যার জন্ম দেন স্ত্রী। এরপর, অঙ্কিত দিল্লি হাইকোর্টে হেবিয়াস কোর্পাস আবেদন দাখিল করে অনুরোধ করেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে যেন আদালতে হাজির করানো হয়। তিনি একইসঙ্গে স্ত্রী ও কন্যাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চান আদালতের কাছে। আদালতে অঙ্কিত জানান, জন্মানো ইস্তক, তিনি নিজের চার মাসের মেয়েকে চোখে দেখেননি। তাকে আদর করা তো দূর-অস্ত।
স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে তাঁকে যাতে দেখা করতে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করেন অঙ্কিত। এই প্রেক্ষিতে, বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি আই এস মৃধাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু কল্যাণ কমিটিকে পাঁচদিনের মধ্যে অঙ্কিতের আবেদনের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফলস্বরূপ, অঙ্কিতকে তাঁর স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয় হোমের সুপার।