বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে যাওয়া তৃণমূলের (TMC) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই এলাকায় যাওয়ার পরেই তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, দলে রয়েছেন শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার। তৃণমূলের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সফরের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জাহাঙ্গিরপুরীর (jahangirpuri) সি ব্লকে পৌঁছনোর কথা ছিল তৃণমূলের এই প্রতিদিধি দলের। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।  বেশ কিছুক্ষণ বচসার পর ফিরে যান তাঁরা। পরে সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধি দল এবং সিপিআই নেতা ডি রাজাকেও পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।   


পুলিশের দাবি: 
পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট রুট (Route) করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়েই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের ঠিক করা সেই রুট দিয়ে না গিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে তৃণমূলের প্রতিদিধি দল গিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। সেই কারণেই তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে দাবি, যে রাস্তা দিয়ে ওই সদস্যরা গিয়েছিলেন সেই রাস্তা দিয়ে কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না।  


ক্ষুব্ধ তৃণমূল:
বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে তৃণমূল। এই দিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, 'চারিদিক থেকে ব্যারিকেড করে দিয়েছে. স্থানীয় এক মহিলা এবং বাচ্চাদের সাহায্যে ভিতরে চলে গিয়েছিলাম। লোকাল মানুষ নিজে এগিয়ে এসে খবর দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি এখানে কী হয়েছে। এখানে জল নেই, কোনও পরিষেবা নেই। আমরা যা জেনেছি, ফিরে গিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে বলব।'


পুলিশের দাবির পাল্টা:
এদিন ওই দলে ছিলেন অর্পিতা ঘোষও। তিনি বলেন, 'যে রাস্তা, সে রাস্তার কী আছে। আমরা একটি ব্যারিকেডের সামনে গিয়েছিলামে। আমাদের বলল এটা নয়, অন্য রাস্তা। সেখানে যাওয়ার পরে বলা হয় এটা নয় অন্য রাস্তা। গোলকধাঁধার মতো করেছে। আসলে আমাদের স্পটে পৌঁছতে দেওয়া হবে না।' তিনি আরও বলেছেন, 'পুলিশ আমাদের ঢুকতে দেয়নি। চারপাশে ব্যারিকেড করে দিয়েছে। আমরা স্পটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। অন্যদিক দিয়ে ঘুরে যেতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওখানে কাউকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কাউকে সামনে আসতে দিচ্ছে না। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলার অবস্থাও নেই। মানুষ কথা বলতে চাইছেন। তাঁরা এগোলেই পুলিশ আটকে দিচ্ছে। আমাদের ওখানে দাঁড়াতেই দিচ্ছিল না।'


এর আগে রামপুরহাট এবং হাঁসখালিকাণ্ডে রাজ্য ঘুরে গিয়েছে বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তারপরেই জাহাঙ্গিরপুরী ঘটনার পরে সেখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।


আরও পড়ুন:  দিল্লি-হিংসার মূল চক্রী আনসারের সঙ্গে ‘বিজেপি-যোগ’, তৃণমূল নেতাদের ট্যুইটে বিতর্ক