নয়া দিল্লি : বাংলাদেশ অস্থিরতার মধ্যেই, দিল্লিতে অনুপ্রবেশকারীদের বৈধ নাগরিক করে দেওয়ার অসাধু চক্র ফাঁস। চক্রের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। রীতিমতো বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্য়মে এই চক্র নকল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করত বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল, নির্দিষ্টভাবে জঙ্গলের পথ ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে এই অনুপ্রবেশ চলত বলে জানা গেছে। এছাড়াও স্টেশনে স্টেশনে রুটিন তল্লাশি এড়াতে একটানে লম্বা দূরত্ব পাড়ি দেয়, এমন এক্সপ্রেস ট্রেন বাছাই করে, তাতে চড়ত অনুপ্রবেশকারীরা। এই ১১ জন ছাড়াও চক্রে আর কেউ আছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।


বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে আগে থেকেই তৎপরতা দেখা গেছে দিল্লি পুলিশের। রাজধানীর কালিন্দীকুঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় গতমাস থেকেই চলে দফায় দফায় অভিযান। সীমাপুরী এলাকায় ৩২ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ছেলে-মেয়েদের চিহ্নিত করতে স্কুলগুলিকে আগেই নির্দেশিকা পাঠায় দিল্লি পুরসভা। স্কুলগুলিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে। অনুপ্রবেশকারীদের ছেলে-মেয়েদের জন্মের শংসাপত্র নেওয়া হবে না বলে আগেই দেওয়া হয়েছিল নির্দেশিকা। এবার দিল্লি সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে।


রাজধানী জুড়ে চলছে বেআইনি বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত করার কাজ। দিল্লি পুরসভা এলাকায় বাংলাদেশি  অনুপ্রবেশকারীদের জবরদখল হঠানোরও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, দিল্লির স্কুলগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্তানদের চিহ্নিত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে দিল্লি পুরসভা। রিপোর্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর।


দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তম নগর, শাহিনবাগ এবং জামিয়া নগর মতো এলাকায় বস্তি, ফুটপাত এবং কলোনিতে বাসিন্দাদের নথিপত্র পরীক্ষা দেখা হচ্ছে।


এর আগে দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছিলেন, "সংশ্লিষ্টদের মধ্যে যাঁদের সঠিক নথি নেই তাঁদের থানায় তলব করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। যদি তাঁদের মধ্যে কেউ অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত হন তাহলে সংশ্লিষ্টদের নির্বাসিত করা হবে। অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারে এমন সন্দেহভাজন এলাকাতেই এই অভিান চালানো হচ্ছে। এমনকী যাঁদের নথি রয়েছে সেক্ষেত্রেও যাচাই করতে গিয়ে দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অসম বা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনও এলাকার কিনা।''


অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। আন্তর্জাতিক মহলেও সেই নিয়ে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। দেশে ইসলামি কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সর্বত্র।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে