নয়াদিল্লি: সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দিনকয়েক আগে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় হওয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শদুয়েক লোকের জমায়েত ঘিরে চাঞ্চল্য, আলোড়ন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার পরই আজ বহু লোকের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে একাধিক মানুষকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে পাহারায় নেমে পড়ে পুলিশবাহিনী। দিল্লি সরকারের এ ধরনের যে কোনও অনুষ্ঠান, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা সত্ত্বেও তা অগ্রাহ্য করে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জনৈক শীর্ষ পুলিশ অফিসার বলেছেন, এমন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা জানতে পারে আমরা নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধে জারি লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙার দায়ে উদ্যোক্তাদের নোটিস দিয়েছি। বহু মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ফুটে ওঠায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। অন্তত ১৭৫ জনকে নানা হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর।
এলাকার দুহাজার লোককে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু লোককে অন্য এলাকায় সরানো হয়েছে। এমনকী ওই জমায়েতে যোগ দেওয়া একটি লোকের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে, দুজনের টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ভারতবর্ষের নানা রাজ্য, এমনকী বাইরের কয়েকটি দেশ থেকেও ওই অনুষ্ঠানে লোকজনের আসার খবর মিলেছে।
এ মাসেই দিল্লি সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত হতে পারে, এমন যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কোথাও কোনও নির্দেশ লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা, ড্রোন নামিয়ে সে ব্যাপারে পুলিশের নজরদারি চলছে কোথাও কোথাও।