নয়া দিল্লি : ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত Amphotericin B ইঞ্জেকশনের কালোবাজারির অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এর পাশাপাশি একটি চক্রের হদিশ পায় পুলিশ।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার মণিকা ভরদ্বাজ বলেন, তদন্ত চলাকালীন উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া এলাকার বাসিন্দা আলতামাস হুসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তি Amphotericin B-র ৩০০ মেয়াদ উত্তীর্ণ ভায়াল কিনেছে বলে স্বীকার করে নেয়। রিপ্যাকেজ করে Piperacillin/Tazobactam ওষুধ Amphotericin B বলে বিতরণ করছিল। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, তদন্তের সময় পুলিশ দক্ষিণ দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় ওই ইঞ্জেকশনের ৩ হাজার ভায়াল উদ্ধার করে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার বলেন, এই ইঞ্জেকশনগুলি জাল কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। যদিও Amphotericin B ইঞ্জেকশনগুলি জাল-এটা স্পষ্ট।
এর আগে বেআইনিভাবে Amphotericin B ইঞ্জেকশন বিক্রির অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে একের পর এক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলোর পর নতুন করে গ্রিন ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এনিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন রাজ্য। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় Amphotericin B। সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪-তম বৈঠকে এনিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বৈঠকে স্থির হয়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ‘অ্যামফোটেরিসিন বি’-র উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পশ্চিমবঙ্গেও দেখা গিয়েছে এই সংক্রমণ। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলি কী কী? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, চোখ ও নাকে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তবমি, মানসিক অস্থিরতা। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল,সাইনাস, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে কালচে জল অথবা রক্ত বেরনো, থুতনিতে অথবা মুখের যে কোনও একপাশে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, দাঁত পড়ে যাওয়া ,চোয়ালে ও চোখে ব্যথা , এক জিনিস দুটো দেখা।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন আরও বলছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহার, বেশিদিন আইসিইউ-তে থাকলে কোমর্বিডিটি বা অন্যান্য অসুস্থ থাকলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।