সাউদাম্পটন: বিরাট কোহলির কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেকের দশ বছর পূর্ণ হল রবিবার। ২০১১ সালে ২০ জুন কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল কোহলির। তবে টেস্ট কেরিয়ারের দশম বর্ষপূর্তিতে ব্যাট হাতে ছাপ ফেলতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দ্বিতীয় দিন ৪৪ রানে ক্রিজে ছিলেন। রবিবার সেই স্কোরেই এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন তিনি।


কোহলির উইকেট তুললেন যিনি, নিউজ়িল্য়ান্ডের সেই পেসার কাইল জেমিসন আবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে বিরাটের নেতৃত্বেই খেলেন। রবিবার তাঁর অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে চকিতে ভেতরে ঢুকে আসা বলের কোনও জবাব ছিল না কোহলির কাছে। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন করেন জেমিসন। আম্পায়ার আউট দেন। কোহলি ডিআরএস নিলেও দেখা যায়, বল স্টাম্পসেই লাগত। আউট হয়ে ফেরেন কোহলি।


বিরাট ছাড়া ব্যাট হাতে রবিবার লড়াই করলেন অজিঙ্ক রাহানে। তবে ৪৯ রান করে ফেরেন ভারতীয় টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক। কিউয়ি পেসার নিল ওয়াগনারের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে স্কোয়্যার লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন রাহানে। তিনি ফেরার পর ভারতের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যাট হাতে লড়াই করেন আর অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা। ২৭ বলে ২২ রান করে টিম সাউদির বলে স্লিপ কর্ডনে টম ল্য়াথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অশ্বিন। ৫৩ বলে ১৫ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে কট বিহাইন্ড হন জাডেজা।


পরপর দুবলে ইশান্ত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাকে ফিরিয়ে দেন জেমিসন। তবে বুমরার আউট নিয়ে সংশয় রয়েছে। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বুমরা। আম্পায়ার আউট দিতেই তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে দেখা যায়, বল লেগস্টাম্পে লাগত না। ডিআরএস নিলে হয়তো প্রাণরক্ষা হতো তাঁর।


নিউজ়িল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সেরা জেমিসনই। ২২ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দীর্ঘকায় পেসার। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২১৭ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর বিনা উইকেটে ১৯।