নয়াদিল্লি: দিল্লির হিংসার পর এটাই প্রথম শুক্রবার, অর্থাৎ আজ জুম্মার নামাজ। ফলে বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ২৬ তারিখের পর আর নতুন করে হিংসার কোনও খবর না এলেও গত কয়েকদিনে যা ঘটেছে তাতে পরিস্থিতি হালকাভাবে নেওয়ার কথা ভাবতে পারছে না প্রশাসন।

দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯, আহত ২০০-র বেশি। জুম্মার নামাজের জেরে উত্তর পূর্ব দিল্লির খেজুরি খাস ও দয়ালপুর এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি ঠান্ডা তবে বাজারহাট খোলেনি। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছে অপরাধ শাখার ওপর, তৈরি হয়েছে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল। নেতৃত্বে রয়েছেন দুই ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকে ও রাজেশ দেব। এছাড়া দলে থাকবেন ৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার। তদন্ত চলবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বি কে সিংহের নজরদারিতে।


উত্তর পূর্ব দিল্লি ও পূর্ব দিল্লিতে আজ ও আগামীকাল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিএসই-র পরীক্ষা। এ নিয়ে এক সপ্তাহে তৃতীয়বার সিবিএসই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। কবে পরীক্ষা হবে, তা শিগগিরই জানানো হবে।

এদিকে উসকানিমূলক বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে আজ দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি। এই সব বক্তৃতাদাতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে হাইকোর্টে একাধিক আবেদন দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা ভঢরা, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, আকবরউদ্দিন ওয়াইসি, ওয়ারিস পাঠান, মণীশ সিশোদিয়া, আমানুল্লাহ খান, স্বরা ভাস্কর সহ বেশ কয়েকজনের। এছাড়া হিংসায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের দেহ সংগ্রহের দাবি নিয়েও আজ শুনানির সম্ভাবনা।