মুম্বই: বিয়ে..সম্পর্ক...বিচ্ছেদ। সেলিব্রিটিদের জীবনের এই অতি ব্যক্তিগত অধ্যায়গুলিও গোপন থাকে না। তাই নিয়ে মুখরোচক চর্চাও হয় বিস্তর। কিন্তু সম্পর্কে বিচ্ছেদের বিষয়টি যে কারও কাছেই, তেমন সহজ হয়, তা মুখ ফুটে বললেন ৯০ দশকের জনপ্রিয় নায়িকা ভাগ্যশ্রী।
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। এই একটি ছবিই ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর কেরিয়ারের মোড়। তারপরই পরিচালক হিমালয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে। কিন্তু তারপর শোনা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ভাগ্যশ্রীর। সেই ঘটনা যে স্রেফ রটনা নয়, তা জানেন অনেকেই। কিন্তু বিচ্ছেদের সেই পর্যায় যে ভাগ্যশ্রীর জীবনে খুব মর্মান্তিক কেটেছিল, তা তিনি জানালেন নিজেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, হিমালয়ই ছিল তাঁর প্রথম প্রেম। তারপর বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু মাঝে একটা সময় ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছিল দুজনের। ওই সময়ের কথা ভাবলে এখনও ভয় করে।



হিমালয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় স্কুলজীবনেই। বাবা-মার আপত্তিতেই হিমালয়ের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন ভাগ্যশ্রী। মন্দিরে সেই বিয়েতে হাজির ছিলেন সলমন খান, পরিচালক সূরজ বরজাতিয়া ও বন্ধুবান্ধবরা।
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ রিলিজের পরে বলিউড তাঁর কাছে অনেক প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু স্বামী-ছেলের কথা ভেবেই সরে গিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। তার জন্য কোনও অভিযোগ নেই, জানালেন অভিনেত্রী।
ঘর সামলানো ‘থ্যাঙ্কলেস জব’ হতে পারে কিন্তু যখন চোখের সামনে দেখি, ভাল মানুষ হয়ে উঠছে সন্তান, সেটাই আনন্দ দেয়। খোলা মনে জানান ভাগ্যশ্রী।
ভাগ্যশ্রী ও হিমালয়ের দুই সন্তান, অভিমন্যু ও অবন্তিকা। ইতিমধ্যেই অভিমন্যুর বলিউডে অভিষেক হয়েছে।