নয়াদিল্লি: সবে মাত্র করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠেছে  দেশ। আসতে পারে তৃতীয় ঢেউ। এমন আশঙ্কাও রয়েছে। এরই মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। সন্দেহভাজন ২০০ রোগীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০ জন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট ভবিষ্যতে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠবে।


আর এই পরিস্থিতিতে অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিবদের দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও অঞ্চল বা জেলায় ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়লেই ব্যবস্থা নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। কোনওরকম জমায়েত বা জনসমাগম করা যাবে না সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টিকাকরণ করতে হবে।


দেশের তিন রাজ্যে পাওয়া গিয়েছে অতি সংক্রামক করোনার এই নতুন প্রকারভেদের খোঁজ। গত ১৬ জুন মধ্যপ্রদেশে এই ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত প্রথম কেসের খোঁজ সামনে এসেছিল। এবার কয়েকদিনের মধ্যেই কেরল জানালো সেখানে ৩ টি ও মহারাষ্ট্র জানিয়েছে সেখানে ২১টি ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্টের আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি, জলগাঁওয়ে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মধ্য প্রদেশের ভোপাল এবং শিবপুরিতে মিলেছে ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার পর তা ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জেনেটিক্স কনসর্টিয়ামের পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলির পাশে রয়েছে কেন্দ্র। আশ্বস্ত করে তাও জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।


ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জেনেটিক্স কনসর্টিয়ামের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার জানানো হয়, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট চিন্তার কারণ। এই ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য হল অতি দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। ফুসফুসে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে বলেছে, জন স্বাস্থ্যের বিষয়টি বুঝে গুরুত্ব সহকারে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। প্রয়োজনে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধির উপরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।