কলকাতা: বিধানসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) সদস্য হিসেবে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন মুকুল রায়। এমনই খবর সূত্রের। এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রত্যেকবারই বিধানসভার পিএসি-র চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে আগ্রহ থাকে রাজনৈতিক মহলে। চেয়ারম্যান স্থির করার আগে কমিটির সদস্য কারা হবেন, তা ঠিক হয়। এবার সরকার ও বিজেপির তরফে জমা দেওয়া হয়েছে তালিকা। 
কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। কিন্তু খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে এবার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি পিএসি-র সদস্য হিসেবে যাঁদের নাম জমা দিয়েছে, সেই তালিকায় মুকুলের নাম নেই। সরকারও যে তালিকা দিয়েছে, সেখানেও মুকুলের নাম নেই। কারণ, তিনি এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক। 
পিএসি-র মোট সদস্য সংখ্যা ২০ জন। এরমধ্যে সরকার পক্ষের থাকেন ১৩ জন ও বিরোধী পক্ষের ৭ জন। এখন সরকার বা বিরোধী দল বিজেপির তালিকা ছাড়াও মুকুল আজ তিনটেয় পিএসসি সদস্য হিসেবে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন বলে খবর সূত্রের। বেলা ৩টের মধ্যে মুকুলের নামও জমা পড়তে চলেছ বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে।  জানা গেছে, বিধানসভার সচিবের কাছে জমা পড়েছে আলাদা একটি নাম। 
পিএসি-র সদস্য হিসেবে যদি ২০ জনের মনোনয়ন জমা পড়ে, তাহলে তাঁরাই সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।কিন্তু যদি এর বেশি জনের নাম থাকে, তাহলে ভোটাভুটি হবে। ভোটাভুটিতে সদস্য নির্বাচিত হবেন।
পিএসি-র চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন অধ্যক্ষ। বিধানসভার সচিবের কাছে জমা পড়ার পর তাঁর কাছে সেগুলি যাবে।
মুকুলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছি বিজেপি। সেজন্য মুকুলের মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে কোনও তৃণমূল বিধায়কের নাম থাকলে বিজেপির অভিযোগ আরও জোরাল হত। সূত্রের খবর, মুকুলের মনোনয়নে শাসক দলের বাইরে দুই বিধায়কের সই থাকছে। তাঁদের মধ্যে একজন কালিম্পংয়ের বিনয়-পন্থী বিধায়ক। সূত্রের খবর, অন্যজন, বিজেপির এক বিধায়ক। ফলে সব মিলিয়ে পিএসি গঠন  নিয়েও শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে টক্কর দেখা দিতে চলেছে।