নয়া দিল্লি: প্রশ্ন উঠতেই পারে যে দেশে তো টিকাকরণ চলছে তাও কেন দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ৩৬ হাজারের ওপরেই রয়েছে। কেরলে তো এই সংক্রমণ আরও বেশি। INSACOG- জিনোম সিকোয়েন্সিং সরকারি কনসোর্টিয়াম, তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণায় জানিয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছে ডেল্টা ভাইরাস। ভারতে যে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে তা করোনার ডেল্টা প্রজাতির জন্যই। 


একে 'breakthrough infections' বলা হচ্ছে। এই সংক্রমণ এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমিত হয় যাদের টিকা ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অথচ ফের করোনা পজিটিভ হয়েছেন তাঁরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সারা দেশে করোনাভাইরাসের ক্রমাগত প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ডেল্টা। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও এর সংক্রমক রূপের কাছে নতিস্বীকার করছে।


কনসোর্টিয়াম অন জিনোমিক্স সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে সংক্রমণ আটকাতে প্রশ্নের মুখে পড়লেও করোনা ভ্যাকসিন মৃত্যু আটকাতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে টিকাকরণের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় ভারতের মতো জনবহুল দেশে অনেকটাই কম মৃত্যুহার। সেখানে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল সেই ৩০ হাজার ২৩০টি নমুনার মধ্যে ২০ হাজার ৩২৪টি নমুনায় ডেল্টা ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।


বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চিন, কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য উদ্বেগের একটি বড় কারণ এই 'ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন'। এর জেরেই চলতি বছরে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পরে ভারত। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক পেরিয়ে যাওয়ায় দেশে দেখা যায় অক্সিজেন ঘাটতি, বাড়তে থাকে মৃত্যু, ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। 


শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৫৭১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে সামান্য কিছুটা বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লক্ষের কাছাকাছি। তবে ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশ কিছুটা বেশি সুস্থতার সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ১৫০ দিনের মধ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা রেকর্ডহারে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৫৫ জন।