কলকাতা: দু’ দিন পরেও দেওঘরের (Deoghar) ত্রিকূট পাহাড়ে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় রোপওয়ের ৫টি ট্রলির ভিতরে এখনও আটকে ১১ জন পর্যটক। ওই এলাকায় কুয়াশা থাকায় উদ্ধারকাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি। এরই মধ্যে ট্রলি (Trolly) ও ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে বায়ুসেনা।  এদিন সকালে ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।


কী হয়েছিল?


রোপওয়ে দুর্ঘটনাটি (deoghar ropeway accident ) ঘটে রবিবার। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন ৮ জন। সূত্রের খবর, ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়েতে প্রাথমিক ফেঁসে ছিলেন ৪৮ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বায়ুসনার (air force )  হেলিকপ্টারের। তবে সূত্রের খবর, প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে, তাই স্থির থাকতে পারছে না হেলিকপ্টার, সেই কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। যাঁরা রোপওয়েতে আটকে রয়েছেন, ২২ ঘণ্টা ধরে তাঁদের কাছে জল নেই।


তাঁদের কাছে জল পৌঁছোনোই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মাটি থেকে ৮০০ মিটার উঁচুতে ওই রোপওয়েতে ফেঁসে আছেন বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পর্যটকরা।  


কীভাবে চলছে উদ্ধারকাজ? 


ড্রোনের মাধ্যমে মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ভোর ৫টা থেকে ত্রাণকার্যের জন্য হেলিকপ্টারে রেকি করা হচ্ছে। দেওঘরে থাকা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী হাফিজুল হাসান এখনও ত্রিকুটে পৌঁছাননি। ত্রিকূটের এই ঘটনায় কেবিনে আটকে থাকা বহু লোকের আহত হওয়ার খবরও রয়েছে। ওপরের কেবিনে আটকে পড়া লোকদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়নি, যদিও নিচের কেবিনে থাকা সবার কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। ভারতীয় বায়ুসেনার কর্মীরা ক্রমাগত হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।