কলকাতা: লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে চিনের বেশ কিছু অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার, যেগুলির মধ্যে টিকটক অন্যতম। এই জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই বাজার ধরতে আসরে নেমে পড়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বেশ কিছু ভিডিয়ো অ্যাপ। যার অন্যতম রোপোসো। গুগল প্লে-স্টোরে এর ইউজারের সংখ্যা ১০ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে।

রোপোসোর দাবি, ভারতীয় অ্যাপগুলির মধ্যে তারাই প্রথম ১০০ মিলিয়নের মাইলস্টোন ছুঁতে পেরেছে। যে বিপুল সংখ্যায় এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হচ্ছে, তা থেকেই স্পষ্ট ভারতের বাজারে এর চাহিদা কতটা। ডাউনলোডের সংখ্যার বিচার ছাড়াও এই অ্যাপের আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক রয়েছে। রোপোসো অ্যাপ যে সংস্থার মালিকানাধীন সেই গ্লান্স জানিয়েছে, গত মে মাসের প্রথম দিকেই তাদের অ্যাক্টিভ ইউজারের সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছেছিল। অনেকেরই হয়তো মনে রয়েছে, গ্লান্স লকফিড প্ল্যাটফর্ম। এতে ব্যক্তিগত ভাবে স্ক্রিন এআই-ডিভাইজ দিয়ে স্ক্রিন লক করা যায়।

এই অ্যাপ পুরোপুরি ভারতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ স্মার্ট ফোন ইউজারের কাছে এই অ্যাপ পৌঁছে গিয়েছে। রোপোসো জানিয়েছে, ১২ টি ভারতীয় ভাষা থাকায় এর ইউজারের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। প্রতি দিন ভিউজ হচ্ছে ২ বিলিয়ন ভিডিয়ো।

মোবি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নবীন তিওয়ারি জানিয়েছেন, ভারতের দুটি বড় প্ল্যাটফর্ম গ্ল্যান্স ও রোপোসো মিলে ৪০ শতাংশ স্মার্টফোন ইউজারের কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছি। আমরা আশা করি এই সাফল্যের উপর দাঁড়িয়ে ভারত ও মার্কতিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আমরা ভারতকে একটি ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে পারব।

টিক টক নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে রোপোসো সহ চিঙ্গারি, মিট্রন-এর মতো ভিডিয়ো অ্যাপের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে চিঙ্গারি অ্যাপের ডাউনলোড প্রতি সপ্তাহে এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামও শর্ট ভিডিয়ো আপলোডারদের জন্য একটি বিশেষ ফিচার যোগ করেছে। সেটি হল রিলস।

টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। রোপোসো আসায় তারা বেশ খুশি। এই ধরনের অ্যাপ ইউজারদের অনেকেই বলেন টিকটকের মতো অত ফিচার নেই রোপোসোতে। তবু তাঁদের মন ভরিয়েছে রোপোসো।