বেজিং: চিনে সরকারের (China Govt) বিরুদ্ধে কোভিড (Covid) নীতি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জনরোষ। জিরো কোভিড (Zero Covid) নীতির কারণে জোর করে লকডাউন (Lockdown) করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে এবার রাস্তায় নেমেছে জনগণ। এদিকে, কোভিড সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই কারণ দেখিয়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করতে শুরু করেছে। বলা হয়েছে, সে দেশে ফের বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৩৪৭ জন।
গত কয়েক মাস ধরে চিনে নতুন করে মারাত্মক হারে ছড়াতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় জিরো কোভিড নীতিকে কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। গোটা দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ের উরুমকিতে একটি বহুতলে আগুন লাগে। লকডাউন থাকায় বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল ওই বহুতল। ফলে পুড়ে মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। এর পরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
শিন জিয়ান, সাংহাই সমস্ত জায়গায় কেন সবাইকে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে? বিশ্বজুড়ে যেখানে অতিমারী কমছে, জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে, সেখানে এই পদক্ষেপ কেন করছে বেজিং? প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন, সরকারি কোভিড নীতির প্রতিবাদে চিনের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ, রাস্তায় নামলেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ
চিনের উহান প্রদেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা। বিশ্বব্যাপী যে ত্রাসের প্রভাব পুরো কাটেনি এখনও। তবে আগের থেকে অনেকটাই ফিকে হয়েছে মারণ ভাইরাসের প্রভাব। মাঝে করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় চিন সরকার কঠোর কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন নীতি নিয়েছিল চিন সরকার। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফের একবার সেই কঠোর নীতি ফিরিয়েছে সেদেশের সরকার। যার পরই প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে সেদেশে।
অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় সে দেশের ভিডিও পোস্ট করেছেন। যদিও সে সকল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
উল্লেখ্য, শূন্য-কোভিড নীতির অধীনে, শহর ও এলাকাগুলিকে কঠোর লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং করোনার কোনও পজিটিভ কেস রিপোর্ট হলে এলাকার লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হবে। বেজিং সহ প্রায় সমস্ত শহরেই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া, শহরের লোকেরা রেস্তোঁরা এবং বাজার সহ সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ করতে পারে না।