নয়াদিল্লি: একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে। সেকথা মাথায় রেখে বিমানে পাওয়ার ব্য়াঙ্ক নিষিদ্ধ করার ভাবনা। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (DGCA) বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে বলে খবর। দেশের সমস্ত বিমানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ হতে পারে। (Power Bank on Flight)

Continues below advertisement

সম্প্রতি দিল্লিতে IndiGo-র একটি বিমানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর যাচ্ছিল বিমানটি। সেই সময় এক যাত্রীর পাওয়ার ব্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়। রবিবারের ওই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও, দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। (DGCA Power Bank Ban)

সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও দেখে শিউরে ওঠেন সকলে। বিমানকর্মীরা আগুন নেভাতে সফল হলেও, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ভারতের বাইরে অন্য দেশেও একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে। পাওয়ার ব্যাঙ্কের লিথিয়াম ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যাচ্ছে যখন তখন। 

Continues below advertisement

এমতাবস্থায় দেশের সমস্ত বিমানে পাওয়ার ব্য়াঙ্ক নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ করার যায় কি না, সেই নিয়ে পর্যালোচনা চলছে DGCA-র অন্দরে। বিমানে কোন অবস্থায় পাওয়ার ব্য়াঙ্ক নিয়ে উঠছেন যাত্রীরা, বিমান সংস্থাই বা তা নিয়ে কী করছে, দেখা হচ্ছে খতিয়ে। 

সব ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটছে এমনও নয়। তাই শেষ পর্যন্ত ফলাফল যদি অমীমাংসিত থেকে যায়, ঝুঁকির সম্ভাবনা যদি পুরোপুরি বোঝা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বিমানে ওঠা নিষিদ্ধ হতে পারে। আবার বেঁধেও দেওয়া হতে পারে পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি।

বিমান পরিবহণ মন্ত্রককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। DGCA-র সঙ্গে পর্যালোচনায় যুক্ত তারাও। IndiGo জানিয়েছে, ট্য়াক্সিওয়ে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফিরে আসে তাদের 6E 2107 বিমানটি। এক যাত্রীর ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেটি বসার আসনের পিছনের পকেটে রাখা হয়েছিল। বিমানকর্মীরা শেষ পর্যন্ত আগুন নেভাতে সফল হয়েছিলেন। বিমানটির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। নিরাপদ ছিলেন যাত্রীরাও। 

এর আগে অক্টোবরের গোড়ায় এমিরেটস বিমানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিষিদ্ধ করে। বর্তমানে বিমানে ঘণ্টায় ১০০ ওয়াটের পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে ওঠায় অনুমতি রয়েছে। বিমানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ দেওয়া বা তা থেকে মোবাইল চার্জ করাও নিষিদ্ধ। এপ্রিল মাসে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সও বিমানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিষিদ্ধ করে। Cathay Pacific, কাতার এয়ারওয়েজও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

পাওয়ার ব্যাঙ্কে যে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থাকে, তা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন। সেগুলি বাজারে ছাড়ার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সস্তায় জিনিস বিক্রি করতে গিয়ে বহু সংস্থাই নিয়মের দার ধারে না। এর ফলে তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়, বিস্ফোরণ ঘটে। সম্প্রতি চিনে মাঝ আকাশেই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে যাত্রীর ব্যাগে রাখা পাওয়ার ব্য়াঙ্কে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।