নয়াদিল্লি: পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ কেন্দ্রের কাছে তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম বলছে, সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক এ নিয়ে ডিমার্শে পাঠিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশনকে, অভিযোগ করেছে, ঢাকাকে বিন্দুবিসর্গ না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে দিল্লি।


সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজের সবরকম রফতানি বন্ধ করে দেয়। মহারাষ্ট্রের লালসালগাঁও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা প্রতি কেজির বেশি বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।  বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রক ভারত সরকারকে লিখেছে, ২০১৯ থেকে ২০২০-তে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত হয়, তাকে প্রভাবিত করেছে ভারতের এই ঘোষণা। বাংলাদেশি বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম সাহরিয়ার আলম বলেছেন, এমন কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলে বাংলাদেশকে আগে থেকে জানানোর ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে তাঁদের অলিখিত বোঝাপড়া আছে। বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রক তাদের চিঠিতে বলেছে, ভারতের এই ঘোষণা বাংলাদেশি বাজারের অত্যাবশ্যক খাদ্যবস্তু সরবরাহে সরাসরি প্রভাব পড়বে।

গত অক্টোবরে ভারত সফরের সময় বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পেঁয়াজ সরবরাহ আচমকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি তোলেন। বলেন, এভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায় তাঁদের সমস্যা হচ্ছে, আগে থেকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দিলে ভাল হত, তাহলে তাঁরা অন্য দেশ থেকে আনতে পারতেন। হাসিনার এই ব্যক্তিগত স্তরে অনুরোধের কথাও ভারতীয় হাই কমিশনকে লেখা বাংলাদেশি বিদেশ মন্ত্রকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকার সংবাদ মাধ্যম বলছে, ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০ টাকা পেরিয়েছে। বেশিরভাগ দোকানে পেঁয়াজ নেই, অনেকে বেশি করে কিনে জমিয়ে রেখেছে বাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে দাম বৃদ্ধি সামলাতে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি ট্রাকে করে ৩০ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। কিন্তু দীর্ঘ লাইন আর আকাশছোঁয়া চাহিদার জন্য ২ কেজির বদলে খদ্দের পিছু মাত্র ১ কেজি পেঁয়াজ দিতে পারছে তারা। বাংলাদেশ সরকার ঠিক করেছে, তুরস্ক ও মিশরের মত অন্যান্য দেশ থেকে তারা পেঁয়াজ আমদানি করবে। যদিও জাহাজে করে আসা এই পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে আসতে অক্টোবর পড়ে যাবে।