কলকাতা : ভ্যাকসিন প্রতারণাকাণ্ডে আরও সুর চড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ তিনি বলেন, বড় বড় লোকেরা যুক্ত আছেন। ধরা পড়ে গেছেন। তাই এখন নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রেখে টিকা নিয়ে ব্যাবসা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্ভাগ্য, কোনও ঘটনা ঘটলে সিআইডি তদন্তের নামে সেটা চেপে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, এটাও সেরকম চেষ্টা করা হবে। সারা বিশ্বের সামনে আমাদের মুখ পড়ে গেছে। তাই আমি চাইছি, সিবিআই তদন্ত হোক।


এদিকে ভুয়ো ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। যে মানুষগুলি নিয়েছেন সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত। দোষীদের কঠোর সাজা দেওয়া উচিত। 


তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সব ব্যাপারে সিন্ডিকেট চলে। এটাও। সবাই অবাক হচ্ছেন। কিন্তু, আমি মোটেও অবাক হচ্ছি না। এতদিন ধরে টিকা কম দেওয়া হচ্ছিল, লুকানো হচ্ছিল, হিসাব দেওয়া হচ্ছিল না, কালোবাজারে টিকা নিয়ে গিয়ে পয়সা কামানো হচ্ছিল। এর মধ্যে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা যুক্ত। না হলে সরকারি জায়গায় ক্যাম্প হচ্ছে। সেখানে একজন সাংসদ এসে টিকা নিচ্ছেন। কেউ জানে না ? এটা মানতে হবে ? কর্পোরেশনের যিনি অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর আছেন তাঁর জানার মধ্যেই হয়েছেন। তাঁরা সবাই এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। এখনই এঁদের পদত্যাগ করা উচিত। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। না হলে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যথা পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে যে কেলেঙ্কারি চলছে তা প্রকাশ্যে আসবে না। কর্পোরেশনের মধ্যে এধরনের ঘটনা ঘটছে কীভাবে ? একজন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে, বড় বড় লোকেদের সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন এবং ভ্যাকসিনর নামে জল দিচ্ছেন। এমপি-কেও বাদ দেওয়া হয়নি। এর পরে আর কিছু বলতে হবে ? 


প্রসঙ্গত, করোনার টিকা দেওয়ার নাম করে যে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে তা আসলে করোনার টিকা নয়। দেবাঞ্জন দেব জেনেবুঝে মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলেছেন, দাবি তদন্তকারীদের। এর ফলে মানুষের শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। এই কারণেই দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আজই আলিপুর আদালতে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করার আবেদন জানানো হতে পারে।