কলকাতা: একাধিক ইস্যুতে বামপন্থী সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে রাজ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত হিংসায় একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  ধর্মঘটের ডাক দেওয়া সংগঠনগুলির কর্মীদের সঙ্গে সামিল ছিল কংগ্রেসও।  কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির লোকজন ট্রেন অবরোধ করেন, টায়ার পোড়ান, পাথর ছোঁড়েন,  স্টেশনে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। কোথাও কোথাও সাধারণ  রেলযাত্রীদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। তবে যাঁদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নামেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা, সেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত ধর্মঘটের প্রভাব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেন, বলেন, ধর্মঘট কোথায়! আরও বলেন, ধার্মিক দেশে কোনও ধর্মঘট হবে না। ধর্ম আছে। ঘট আছে ধর্মঘট বলে কিছু নেই। বাংলায় এই করে সর্বনাশ হয়েছে। তাই মানুষ ওদের বিদায় দিয়েছে। “


পাল্টা জবাবে তাঁকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সুজনের নেতৃত্বে যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ করে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। সিপিএমের রাজ্যস্তরের নেতার বক্তব্য, ২০ কোটির চাকরি নেই। কিছু জানেন দিলীপ ঘোষ? সুজন বিজেপি-তৃণমূল ‘আঁতাতে’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, বাংলার মানুষ মানবে না। দেশের মানুষ মানবে না। দেশজুড়ে ধর্মঘট হচ্ছে। দিলীপ ঘোষরা কিছু জানেন না। দিলীপ ঘোষকে সাহায্য করার জন্য এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনধের বিরোধিতায় নেমেছেন। কারণ মোদীর কাছ থেকে সার্টিফিকেট চাই।‘’