কলকাতা : শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠকে বিরোধী দলগুলি। এনিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একমাত্র মোদির ফ্রন্টই থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিরোধীদের একহাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এইসব নাটক অনেক দিন ধরে দেখছি। এই ফ্রন্ট, ওই ফ্রন্ট, সেই ফ্রন্ট। মোদির ফ্রন্টই একমাত্র থাকবে। তাঁর সামনে কেউ নেই। এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত । যত মানুষকে ধোকা দিয়েছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এগুলো বেশিরভাগই আঞ্চলিক দল। কংগ্রেসও প্রায় ধীরে ধীরে আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। সিপিএমও তাই হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের সঙ্গে এরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।"
এদিকে দিলীপবাবুর বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, দিলীপবাবু কী বলছেন তার উপর কিছু নির্ভর করে না। ওঁর ফ্রন্ট থাকবে কি না সেটা সামলাক আগে। মোদি ফ্রন্টকে এখন লোক একদম নাকচ করে দিচ্ছে, বাংলা তার প্রমাণ।
গতকাল দিল্লিতে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেন শরদ পাওয়ার। দুই সপ্তাহে এনিয়ে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসেন তাঁরা। তার পরই বিরোধী বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সামগ্রিক ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালে তৈরি হয় রাষ্ট্র মঞ্চ। সেই মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের কাছে আবেদন করেন যশবন্ত সিনহা। প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কাজেই এই বৈঠক রাষ্ট্র মঞ্চের উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন এনসিপি-র অন্যতম নেতা প্রফুল প্যাটেল।
আজ দিল্লিতে NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়ি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন- তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা, বিশিষ্ট সঙ্গীতকার জাভেদ আখতার, রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তবে নেই কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি। যোগ দিয়েছেন সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু। অবিজেপি, অ-কংগ্রেস নেতারা রয়েছেন। পরের লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র মোকাবিলায় "মিশন ২০২৪"-এর পরিকল্পনায় বিরোধীদের এককাট্টা করার জন্যই কি এই উদ্যোগ ? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।