সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, খানাকুল (হুগলি): হুগলির আরামবাগের খানাকুলে মাথা মুড়িয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন ৫০০ জনের বেশি কর্মী, সমর্থক। আজ আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে ফেরেন। এই কর্মী-সমর্থকরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আজ দেখা যায়, অনেকেই মস্তক মুণ্ডন করেছেন।


হঠাৎ কেন এভাবে মাথা মুড়নো জানতে চাইলে তাঁদের দাবি, বিজেপিতে যাওয়া যে ভুল হয়েছিল তা বুঝতে পেরে মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে পুরনো দলে ফিরেছেন। তৃণমূল সাংসদের দাবি, বিজেপি এই সব কর্মী সমর্থককে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁরা ভুল শুধরে দলে এসেছেন। এ বিষয়ে এখনও বিজেপির প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


হুগলি সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বিধানসভা ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখানোর ধারা। কর্মী, সমর্থক থেকে নেতা অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোটের ফলে ফের একবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার পর থেকেই আবার শুরু হয় উল্টোস্রোত। 'ফুল বদল'-এর দলে নাম লেখান ফের অনেকেই। 


তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা অনুযায়ী, দলে ফেরানোর আগে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে দেখা যায় ক্ষমা চাওয়ার বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতি। জাতীয় সড়কে বসে 'ক্ষমাপ্রার্থনা' করে দলে ফেরার বার্তা দিয়ে পোস্টার নিয়ে বসার ঘটনা আগেই দেখেছিল রাজ্যবাসী। এবার দেখা গেল প্রায়শ্চিত্ত করতে মাথা মোড়ানোর ঘটনাও। 


মঙ্গলবার সকালেই বীরভূমের লাভপুরে শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক। ভয় দেখিয়ে বিজেপি কর্মীদের যোগদান করানো হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিজেপি হয়। তৃণমূলের দাবি করে উন্নয়নের কাজে সামিল হতেই দলবদল। সাঁইথিয়ায় গত ১৮ জুন প্রায় ২০০ বিজেপি কর্মীকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। পরের পর এই সব ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে বিতর্ক ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে।