নয়া দিল্লি : গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল করোনা অতিমারী। যার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তার মোকাবিলা করার জন্য ভ্যাকসিন আনতে বেগ পেতে হয় বিজ্ঞানীদের। প্রায় তিন বছর পর, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। কিন্তু, পরবর্তী মহামারি নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তা চিন্তা বাড়িয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পরবর্তী অতিমারীর জন্য তৈরি হতে হবে গোটা বিশ্বকে। যা করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাঁর এই মন্তব্যের পর, এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে কোন কোন রোগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে।


শর্ট লিস্টে যেসব নাম রয়েছে তা পরবর্তী ভয়ঙ্কর অতিমারীর কারণ হতে পারে। এই তালিকায় থাকা অধিকাংশ রোগের নামের সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। যেমন- ইবোলা, সার্স, জিকা। শেষমেশ যে রোগটি এই তালিকায় রয়েছে, সেটাকে বলা হচ্ছে- 'ডিজিজ এক্স', যা এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। WHO-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই টার্মটি "একটি প্যাথোজেনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন কোনও অতিমারীর কথা তুলে ধরা হয়েছে যা বর্তমানে মানবদেহে রোগের কারণ কি না অজানা।" এটি কোনও ভাইরাসঘটিত, ব্যাক্টেরিয়াঘটিত বা ছত্রাকঘটিত রোগ হতে পারে। যার কোনও পরিচিত চিকিৎসা নেই।


২০১৮ সালে এই টার্মটি ব্যবহার করা শুরু করে WHO। এর এক বছর পরেই করোনা অতিমারী ছড়িয়ে পড়ে গোটা দুনিয়ায়।


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠক করে পরবর্তী অতিমারি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন WHO প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। তিনি বলেন, "কোভিড শেষ হয়েছে মানেই বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থায় ইতি পড়েছে ভাবার কোনও কারণ নেই। আরও একটি প্রজাতি জাল বিস্তার করছে। তাতে নতুন করে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যু। বরং নতুন যে প্যাথোজেনের হদিশ মিলেছে, তা আরও মারাত্মক।" 


ইতিমধ্যেই ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে এই সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়েছে। সম্ভাব্য ওই অতিমারির মোকাবিলা করতে হলে গোটা বিশ্বকে একজোট হতে হবে এবং দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে হবে বলে মত WHO-র। সংগঠনের প্রধান বলেন, "পরবর্তী অতিমারি দরজায় এসে টোকা মারার আগেই সবরকম ভাবে তৈরি থাকতে হবে আমাদের।"