নয়াদিল্লি: রাজ্যের শস্যাগারগুলি থেকে বিনামূল্যে অন্ন তুলে দেওয়া হোক প্রায় ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে, রাজ্য সরকারগুলির কাছে এমনটাই আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। দেশে এমন কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছেন, যাঁদের রেশন কার্ড নেই। তাবলে কি তাঁরা অন্ন পাবেন না? তাই রাজ্য সরকারগুলির কাছে পাসোয়ানের আবেদন, ১৫ দিনের মধ্যে খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার থেকে চাল-ডাল তুলে দেওয়া হোক তাঁদেরকে।
খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, উত্তরপ্রদেশে ১৪২ লক্ষ, বিহারের ৮৬.৪৫ লক্ষ, মহারাষ্ট্রে ৭০ লক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে ৬০.১ লক্ষ, মধ্যপ্রদেশে ৫৪.৬৪ লক্ষ, রাজস্থানে ৪৪.৬৬ লক্ষ, কর্নাটকে ৪০.১৯ লক্ষ, গুজরাতে ৩৮.২৫ লক্ষ, তামিলনাডুতে ৩৫.৭৩ লক্ষ, ঝাড়খণ্ডে ২৬.৩৭ লক্ষ, অন্ধ্রপ্রদেশে ২৬.৮২ লক্ষ মানুষ এতে উপকৃত হবেন।


মে ও জুন মাসে রাজধানীতে ৭.২৭ লক্ষ মানুষ জনপ্রতি ৫ কেজি খাদ্যশস্য ও পরিবারপিছু ১ কেজি চানা বিনামূল্যে পাবেন।

পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৮ লক্ষ পেরোলে, অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দেবে কেন্দ্র। কিন্তু গ্রহীতা যে আসল ব্যক্তি, তা প্রমান করা রাজ্য সরকারের কর্তব্য।
শনিবার পাসোয়ান একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ''পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস হয়ত বলতে পারে আরও বেশ করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হোক। ইউপিএ-র সময়ই ঠিক করা হয়েছিল, ন্যাশনাল ফুড অ্যান্ড সিকিউরিটি আইন অনুসারে, ৮১ কোটি মানুষের কাছে ভর্তুকিতে জনপ্রতি ৫ কেজি খাদ্যশস্য রেশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। তবে এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রী সংবেদনশীল মানুষ। ওঁর সবদিকে খেয়াল থাকে।''

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সব ব্যবস্থাই করবে। কিন্তু রাজ্য সরকারগুলিকে তৃণমূল স্তর থেকে মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দিতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ৭.৯৯ লাখ টন খাদ্যশস্য দু মাসের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক ৬.৯৫ লক্ষ টন চাল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। বাকি ১.০৪ লক্ষ টন গম।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র উঠে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তারা যেন কেউ অভুক্ত না থাকে, সেই দিকে জোর দেন খাদ্যমন্ত্রী।
দিল্লি ও গুজরাতের জন্য চাল-ডাল মিশিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ে পাঠানো হয়েছে গম। বাকি রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ চাল।