নয়া দিল্লি: সময় যত এগোচ্ছে ততই দাপট বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron)। এক থেকে একশো পেরিয়ে আজ দেশে শতাধিক রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত। ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই আবহে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) চিকিৎসক যিনি সর্বপ্রথম ওমিক্রন প্রজাতি শনাক্ত করেছিলেন সেই অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি (Angelique Coetzee) জানান যে দক্ষিণ আফ্রিকার মত ভারতকেও হয়ত আগামী দিনে ওমিক্রন ঝড় দেখতে হতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন বলেছেন যে প্রবল দাপট না দেখলেও রেশ পোহাতে হবে ভারতকে। তবে টিকা অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করবে তবে যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের ১০০ শতাংশ "ঝুঁকি" রয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কোয়েৎজি বলেছেন, "ভ্যাকসিনগুলি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। তাই টিকা ডোজ সম্পূর্ণ করা জরুরি।"
চিকিৎসকের কথায়, একজন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বা যার কোভিড -১৯-এ সংক্রামিত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাঁরা ভ্যাকসিন নিলে এটি কম লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু যারা টিকা নেবেন না তাঁরা সম্ভাব্যভাবে ১০০ শতাংশ ভাইরাস ছড়িয়ে দেবে। তবে এই প্রজাতি এখন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে করোনভাইরাসের একটি দুর্বল রূপ, এমনটা ভাবতে নারাজ ডঃ অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি। এ বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞের মতামতের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন তিনি।
ভারতের ওমিক্রন ভবিষৎ নিয়ে তিনি বলেন, "ভারতে এই নয়া প্রজাতি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আমরা এখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা দেখছি তেমন মৃদু উপসর্গ থাকবে।" প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে ৪১৫টি কেস ধরা পড়েছে ওমিক্রনের। এঁদের মধ্যে ১১৫ জন সুস্থও হয়ে উঠেছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে।
কোয়েৎজি এও জানান নিয়ন্ত্রণ না থাকলে যে কোনও ভাইরাসই মানুষের জন্য বিপদজনক। উপসর্গ মৃদু হলেও শিশুরাও এখন আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা এখনও নির্ণয় করার সময় আসেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকের কথায়, এটি ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক হতে পারে, বা নাও হতে পারে। টিকাকরণ, কোভিড বিধির কড়া নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হতে পারে ওমিক্রন রোখার ক্ষেত্রে।