নয়াদিল্লি: আগুন ঝরাতে শুরু করেছে পাপুয়া নিউ গিনির আগ্নেয়গিরি, 'মাউন্ট উলাউন'। আর তাতে 'সুনামি'-র সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জাপানের সাধারণ মানুষ। অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে সুনামির আশঙ্কা কতটা, তা বিশ্লেষণে ব্যস্ত জাপান মেটিওরোলজিকাল এজেন্সি। তবে 'মাউন্ট উলাউন'-র ছাই এর মধ্যেই ১৫ হাজার মিটার পর্যন্ত উঠেছে, যা ভয় বাড়াচ্ছে জাপানের।


টুকিটাকি...
আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ, পাপুয়া নিউ গিনির নিউ ব্রিটেন দ্বীপপুঞ্জের 'মাউন্ট উলাউন' থেকে  অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর ফলে, সোমবার রাতের দিকে, জাপানে কোনও সুনামির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে কিনা, বিশ্লেষণে ব্য়স্ত  জাপান মেটিওরোলজিকাল এজেন্সি। তবে এমনটা হলে, সুনামির প্রথম ধাক্কা  Izu and Ogasawara দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে পড়তে পারে। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে প্রথম ভূকম্পনের তিন ঘণ্টা পর এই ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, পূর্বাভাস এজেন্সির। যদিও এখনই সুনামির অভিঘাত নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দিতে পারেনি তারা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই অঞ্চলে অগ্ন্যুৎপাত মোটেও অজানা কোনও বিষয় নয়। গত ৩০ অক্টোবরই যেমন, জাপানের ইয়োজিমা দ্বীপ থেকে অদূরে, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। ছাই, পাথর, লাভা উড়ে এসে জমা হতে শুরু করেছিল মহাসাগরের বুকে।  


সক্রিয় আগ্নেয়গিরির ছবি নাসার উপগ্রহেও...
শুধু জাপান নয়, রাশিয়ার কামচাটকার 'ক্লুশেফস্কয় সোপকা' নামে সক্রিয়, মিশ্র আগ্নেয়গিরির একেবারে হালের উদগীরণও ধরা পড়ে নাসার উপগ্রহে বসানো ক্যামেরায়।  জানা যায়, কমপক্ষে ৩০০টি জ্বালামুখ রয়েছে এই আগ্নেয়গিরিতে। ক্লুশেফস্কয়ের সোপকার উচ্চতা ৪ হাজার ৭৫০ মিটার। এশিয়া এবং ইউরোপের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি এই ক্লুশেফস্কয় সোপকা। কামচাটকা ভলক্য়ানিক ইরাপশন রেসপন্স টিম অন্তত তেমনই দাবি করেছে। চলতি বছরের শরতে নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠে ক্লুশেফস্কয় সোপকা। গত ১ নভেম্বর তার দিকে ক্যামেরা তাক করে NASA-র Aqua স্যাটেলাইট। তাতেই তার ভয়াবহ রূপ সামনে আসে। ক্লুশেফস্কয় সোপকা থেকে ছাই, ধুলো এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী ১৩ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে আসে। Aqua-র ক্য়ামেরায় তোলা ছবিতে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর নীচে, রক্তিমবর্ণ গলিত লাভআর স্রোতও বইতে দেখা যায়।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই অগ্ন্যুৎপাত ঘটছিল। কিন্তু ১ নভেম্বর তর্জন গর্জন বেড়ে যায় ক্লুশেফস্কয় সোপকার। ১২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাই, পাথর ছিটকে পড়তে থাকে। ক্লুশেফস্কয় সোপকার এই রূপ দেখে, ওই অঞ্চলের আকাশপথ দিয়ে বিমান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ চাপে। বাতাসের দূষণ একধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায়, আশেপাশের এলাকায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়। নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয়দের। 
জাপানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা গুরুতর হবে নাকি অল্পেতেই নিয়ন্ত্রণে আসবে, সেটার দিকে নিয়ত নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন:জায়দি সম্প্রদায়ের সমর্থনে আন্দোলেন 'অল-হুথি' পরিবার, এখন কেন জাহাজ হাইজ্যাক বিদ্রোহীদের?