সুমন ঘড়াই, কলকাতা: আবাসে বন্ধ টাকা, ফের রাজ্যের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের। আবাস যোজনায় কেন টাকা বন্ধ, ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠি কেন্দ্রের। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। চিঠিতে বেশ কিছু অসঙ্গতিরও উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামীকাল চিঠির উত্তর দিতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। 


কী জানা গেল?
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক যে চিঠি রাজ্যকে পাঠিয়েছে, তাতে টাকা না দেওয়ার কারণ লেখা রয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, আবাস যোজনায় বেশ কিছু জেলায় অসঙ্গতি পেয়েছে কেন্দ্র। এই অসঙ্গতির কথা আগেও জানিয়েছিল কেন্দ্র। আরও একবার তা জানানো হল। শুধু তাই নয়। আরও রাজ্যের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ আবাস যোজনার টাকা কবে পাওয়া যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, দিন পনেরোর মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হওয়ার পর আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হতে পারে। বিভিন্ন অসঙ্গতির মধ্যে এমন উপভোক্তা রয়েছেন যাঁদের পাকা বাড়ি-টেলিভিশন থাকা সত্ত্বেও তাঁরা আবাস যোজনার উপভোক্তা হয়েছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, এর আগেও এই নিয়ে হইচই হয়েছে। উল্টো দিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার বহু প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে কলকাতায় ২ দিনের ধর্নায়ও বসেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। একই অভিযোগে গত মে-তে ৩২ ঘণ্টার ধর্নায় বসে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। গত মাসের গোড়ায় বকেয়ার দাবিতে আন্দোলন চরমে পৌঁছয়। ধর্নায় গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা।কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সূত্রের খবর, সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ বৈঠকের কথা হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বৈঠক হয়নি। বলা হয়, নির্দিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। এর পর কৃষি ভবনেই অপেক্ষা করতে থাকেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের বাকি সাংসদ-মন্ত্রীরা। ঘড়ির কাঁটা চলতে থাকলেও সেই বৈঠক হয়নি। এদিকে পুলিশের তরফে ৯টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তার মধ্যে তৃণমূল সাংসদরা কৃষি ভবন ছেড়ে না বেরোনোয় পুলিশবাহিনী ঢুকতে শুরু করে। শুরু হয় তুলকালাম।


সরব বঙ্গ বিজেপি...
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধের ব্যাপারে বার বার সরব হতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বলেছিলেন, 'এখনও নাম বদল হচ্ছে। ...গিরিরাজ সিংহজি দেখিয়েছিলেন, চুরি কী ভাবে আটকাতে হয়। নাম বদল কী ভাবে রুখতে হয়।' সে সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ' চাইব, এটি অন্য দফতরগুলিও করে দেখাক।' সব মিলিয়ে প্রকল্পের টাকা নিয়ে টানাপড়েন নতুন নয়। সেই ধারাতেই নয়া চিঠি।


আরও পড়ুন:জয়নগরে ত্রাণ নিয়ে যেতে 'পুলিশি বাধা', আদালতের দ্বারস্থ সিপিএম