নয়া দিল্লি: এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানায় ভারত-রাশিয়া-চিন 'সখ্য'। ট্রুথ সোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীর ও অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়েছি। ওদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতি কামনা করি'। 

ভারতকে হারিয়ে ফেলেছে আমেরিকা। ট্রুথ সোশ্যালে এমনই দাবি করেছেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, রাশিয়ার সঙ্গেও যেমন কোনও সম্পর্ক নেই, তেমনি চিনের সঙ্গেও সম্পর্ক অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। 

ট্রাম্পের মন্তব্যের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। আর সেই সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে ওই পোস্ট নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’   

চিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের পর এবার এমনই মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর ছিল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক। আর সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। 

বেজিং, দিল্লি বিমান যেমন নতুন করে চালু হচ্ছে, তেমনি চিনে যাওয়ার ভিসাও এবার ভারতের তরফে আবার শুরু করা হচ্ছে বলে খবর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শুল্ক যুদ্ধ ভারতের সঙ্গে শুরু করেন, তার জেরে দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের ট্রাম্পকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল।

নরেন্দ্র মোদিকে বন্ধু বলে দাবি করেও সম্প্রতি, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তেল বিক্রির টাকাতেই রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁর। এবার সেই শুল্ক বৃদ্ধির আসল কারণ সামনে এনেছে হোয়াইট হাউস।

তবে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতসহ বেশ কিছু দেশের উপর এই অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি তাঁর সেই পদক্ষেপেরই অংশ।