নয়াদিল্লি: যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও, সংঘাত কাটেনি পুরোপুরি। সেই আবহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করল ইরান। তাদের দাবি, মোটেই সুরক্ষিত নন ট্রাম্প। এমনকি ফ্লোরিডায় নিজের বাড়ি Mar-a-Lago-তেও সুরক্ষিত নন তিনি। তাহলে কি প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে ট্রাম্পের? উঠছে প্রশ্ন। ট্রাম্প যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। (US Iran Conflict)
ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এই দাবি করেছেন দেশের সর্বোচ্চ শাসক আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের উপদেষ্টা জাভেদ লারিজানি। তাঁর দাবি, নিশ্চিন্তে রোদ পোহাতে গেলেও ট্রাম্পকে নিশানা করা হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, “ট্রাম্প এমন কাজ করেছেন যে, Mar-a-Lago-তে রোদ পোহাতেও পারবেন না আর। সূর্যের দিকে মুখ করে, খালি গায়ে হয়ত শুয়ে রয়েছেন, পেটের উপর ছোট ড্রোন আছড়ে পড়তে পারে। খুবই সহজ বিষয়।” (Donald Trump)
২০২০ সালে ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিক কাসেম সোলেইমনি খুন হন। আমেরিকায় তৈরি ড্রোন নিয়ে হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। সেই হামলায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন জাভেদ। তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে। তাহলে কি ট্রাম্পকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন তিনি? ট্রাম্পকে খুনের ষড়যন্ত্র চলছে কি? উঠছে প্রশ্ন।
উদ্বেগের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ সম্প্রতি ডিজিটাল মিডিয়ায় ‘Blood Pact’ বা ‘Ahde Khoun’ ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেন শুরু হয়েছে, যার আওতায় ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৭ মিলিয়ন টাকা উঠেছে। ইরানের শত্রু, বিশেষ করে খামেনেইকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধেই ওই ক্রাউডফান্ডিং বলে জানা গিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে সমর্থনও আসছে বলে প্রচার করা হচ্ছে সর্বত্র।
যদিও প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। জাভেদের মন্তব্যকে হুমকি মনে করছেন কিনা, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “হয়ত হুমকি। তবে আমি নিশ্চিত নই। আবার হতেও পারে।” তিনি কি আদৌ রোদ পোহান? জবাবে ট্রাম্প বলেন, “বহুদিন হয়ে গিয়েছে। যখন সাত বছর বয়স ছিল, সেই সময় হয়ত করেছিলাম। রোদ পোহাতে ভাললাগে না।”