নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করছেন। পাশাপাশি, প্রায় রোজই নতুন নতুন দাবি করছেন। ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, যুদ্ধপরিস্থিতিতে সাতটি বা তার বেশি বিমান নামানো হয়েছিল। সঠিক সংখ্যা জানানো হচ্ছে না বলেও দাবি করলেন তিনি। (Donald Trump)
হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, “আমি যদি না থামাতাম, ভারত এবং পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছিল। অদ্ভুত ঘটনা। ওদের লড়াই দেখছিলাম। তার পর দেখলাম সাতটি যুদ্ধবিমান নামানো হয়েছে। আমার মনে হল, এটা ঠিক নয়। অনেকগুলো যুদ্ধবিমান। ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বিমান! সাতটি বা তার বেশি সংখ্যাও হতে পারে। ওরা তো আসল সংখ্যা প্রকাশই করেনি।” (US-India Relations)
ভারত এবং পাকিস্তান, কার কয়টি বিমান ভেঙে পড়ে, তা যদিও খোলসা করেননি ট্রাম্প। তবে তাঁর দাবি, বাণিজ্যের টোপ দিয়ে তিনিই ভারত এবং পাকিস্তানকে নিরস্ত করেন। নইলে পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াত বিষয়টি। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের দাবি, আপাতত যুদ্ধবিরতি হলেও, ফের যুদ্ধ বাঁধতেই পারে দুই দেশের মধ্যে। তবে আবারও তা ঠেকাতে নামবেন তিনি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের কেউই কোনও তথ্য় প্রকাশ করেনি। পাকিস্তানের তরফে এর আগে ভারতের পাঁচ-ছয়টি বিমান নামানোর দাবি করা হলেও, সেই খবরে সিলমোহর দেয়নি ভারত। বরং ভারতীয় সেনা পাকিস্তানকে দুরমুশ করতে সফল হয় বলেই জানানো হয়।
তবে সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য না করা হলেও, ভারতীয় সেনার আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতি মেনে নিয়েছেন একাধিকবার। এমনকি সঠিক সময়ে ছাড়পত্র না মেলায় ভারতকে ক্ষতি সহ্য করতে হয় বলেও দাবি করা হয়। এমনতি পাকিস্তানের উপর আঘাত হানার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি করেন সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। তবে নির্দিষ্ট ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও হিসেব দেননি তিনি।
ভারত সরকারের তরফেও এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সেই নিয়েই বার বার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। তবে ট্রাম্পের এই দাবি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এর আগে পাঁচটি বিমান নামানোর কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এখন অবস্থান পাল্টে সাতটি বা তার বেশি সংখ্যক বিমান নামানোর কথা বলছেন তিনি। ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি এ নিয়ে।